প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২ জানুয়ারি
হাতের শিরা কেটে দেবার পর পুকুরের জলে ডুবিয়ে দিয়ে এক বধু কে হত্যা অভিযোগ উঠলো স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম রেশমিন চৌধুরী ।শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বোধসা গ্রামে ।শনিবার বর্ধমান নেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে বধূর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। বধূর বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ এদিন বধূর স্বামী অরুপ চৌধুরীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।

পুলিশ ও স্থানীয় সৃত্রে জানাগিয়েছে ,রেশমিন চৌধুরীর বাবার বাড়ি কাটোয়ার করজগ্রামে । আট বছর আগে পূর্বস্থলীর বোধসা গ্রাম নিবাসী যুবক অরূপ চৌধুরীর সঙ্গে রেশমিনের বিয়ে হয় । অভিযোগ অতিরিক্ত পন আদায়ের জন্য বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বধূর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো শুরু করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ।বধূর দিদি খুসবু চৌধুরী অভিযোগে জানিয়েছেন , শুক্রবার রাতে তাঁর বোন রেশমিনের উপর অত্যাচার চরমে ওঠে । শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধোর করার পর রেশমিনের বাম হাতের শিরা কেটে দেয়। পরে তারা রেশমিনকে শ্বশুর বাড়ির অদূরে একটি জলাশয় তাকে ডুবিয়ে হত্যা করে। পূর্বস্থলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে । এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হসপাতালে রেশমিনের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় ।
মৃতের মামা সিদ্দিক শামসুল হুদা জানিয়েছেন
,তিনি নিজে বোধশা গ্রামে গিয়ে চার বার মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন ।কিন্তু কোন মীমাংসাই রেশমিনের স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মানেন নি । শুধুমাত্র রেশমিনের শিশুপুত্রের মুখের দিকে তাকিয়ে তাঁকে বারবার শ্বশুরবাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ।তার পরিণতিতে রেশমিনকে খুন হতে হল। জামাই সহ শ্বশুরবাড়ির সকলের কঠোর শাস্তির দাবি করছি বধূর বাবার বাড়ির সদস্যরা ।
Accused of killing the bride by cutting the veins of the hand and drowning her in water – arrested husband