বাবু সিদ্ধান্ত

নগরায়নের যাঁতাকলে পড়ে বিলুপ্ত হতে বসেছে অরণ্য ।তার জেরে সবথেকে বেশী সম্যায় পড়েছে বনের প্রাণীরা। সবুজ বনের আশ্রয় আর তাদের মিলছেনা ।তাই হয়তো শহর বর্ধমানের কালীবাজার এলাকা নিবাসী পশুপ্রেমী ভাস্কর চৌধুরীর বাড়িতেই পাঁচ শাবকদের নিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল বিপন্ন প্রাণী গন্ধগোকুলকে।যাদের কে রবিবার উদ্ধার করলো বনদপ্তর। জানা গিয়েছে বিপন্ন এই প্রাণী গুলিকে বর্ধমানের রমনাবাগান অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দপ্তর ।আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বিবেচনায় পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় গন্ধগোকুলের নাম উঠে এসেছে ।

এমন বিপন্ন একটি প্রাণী তাঁর শাবকদের নিয়ে বাড়ির ছাদের চিলেকোঠায় আশ্রয় নিয়েছে দেখে প্রথমে হতবাক হয়ে যান বাড়ি মালিক ভাস্কর চৌধুরী ।পরে ওই প্রাণীদের প্রতি তাঁর মায়া জন্মে যায় । তিনি ও তাঁর পরিবার সদস্যরা প্রাণী গুলিকে খাবার দাবার দেওয়া শুরু করেন । মা গন্ধগোকুলটিও পাড়ায় ঘুরে খাবার সংগ্রহ করে এনে তাঁর শাবকেদর খাওয়াতো । গন্ধগোকুল শাবক গুলি একটু বড় হয়ে গেছে দেখে ভাস্কর বাবু মনে করেন যে কোন ভাবেই হোক এই বিপন্ন প্রাণী গুলিকে জঙ্গল স্থানে পৌছানো দরকার ।তাই দেরি না করে এদিন দুপুরে ভাস্কর বাবু বর্ধমান বন দপ্তরে যোগাযোগ করে প্রাণী গুলির বিষয়ে জানান । এরপরেই বনদপ্তরের লোকজন পৌছে যান ভাস্কর বাবুর বাড়িতে ।

ঘন্টা দু’য়েকের প্রচেষ্টায় বাড়ির তিন তলার চিলেকোঠায় একটি পেটির মধ্যে আশ্রয় নিয়ে থাকা পাঁচটি গন্ধগোকুল শাবক ও তাঁদের মাকে উদ্ধার করে বনদপ্তরের লোকজন । বনদপ্তরের লোকজন জানান ,পাঁচটি শাবক সহ ছয়টি গন্ধগোকুল সুস্থ রয়েছে বলেই দেখে মনে হচ্ছে । তাবুও তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে । বিপন্ন এই প্রাণী গুলির কোন শারীরিক সমস্যা না থাকলে রমনাবাগান অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে ।বিপন্ন প্রাণী গুলি জঙ্গল আবৃত স্থানে থাকতে পারবে জেনে খুশি ভাস্কর বাবু ও তাঁর পরিবার সদস্যরা ।
