রিঙ্কু সাহা,বর্ধমান,: পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় আজ মহাসমারোহে পালিত হল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৫তম জন্মজয়ন্তী। বর্ধমান শহরের জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সামনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সকাল থেকেই বিভিন্ন নৃত্য, গান ও কবিতার আবৃত্তি দিয়ে মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ। আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক আয়েশা রানী এ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায়,অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ), জেলা তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিক রামশঙ্কর মন্ডল, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর একে একে শিল্পীরা নৃত্য, সঙ্গীত ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে কবিগুরুর অমর সৃষ্টিকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আগত দর্শকবৃন্দ মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেই পরিবেশ উপভোগ করেন।
জেলা শাসক আয়েশা রানী এ তাঁর বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও কর্মের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং তাঁর আদর্শকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান। সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, রবীন্দ্রনাথ শুধু একজন কবি নন, তিনি বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। তাঁর সৃষ্টি আজও আমাদের পথ দেখায়।
বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস এবং পৌর চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকারও তাঁদের বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান এবং প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসন ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, শুধু বর্ধমান জেলাতেই নয়, গোটা বাংলা জুড়ে আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী। বাঙালির জীবনে রবীন্দ্রনাথ এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন এবং তাঁর সৃষ্টি চিরকাল অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
