সালানপুর:-উত্তররামপুর জিৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত কল্যা গ্রাম-৬ ডাঙ্গালপাড়ার বাসিন্দা ছোটন মির্ধার ছেলে জগন্নাথ মির্ধার সহিত একি গ্রামের বাসিন্দা টুলু দাসের মেয়ে সাথে,উত্তররামপুর জিৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাপস চৌধুরী সহযোগিতায় কল্যা গ্রাম-৫ কালি মন্দিরে শুভ বিবাহ সম্পন্ন করা হল।গত ৬মাস আগে আজকের দিনটি বেছে নিয়া হয়েছিল বিবাহের জন্য।বাড়ি থেকে তাদের বিয়েটা হত কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের জন্য দেশে লকডাউন, আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলেছেন।তাই ছেলে ও মেয়ে এবং পুরোহিত নিয়ে মোট ১০জন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে মা কালি মন্দিরে বিয়ে করলো।
এই প্রসঙ্গে উত্তররামপুর জিৎপুর প্রধান তাপস চৌধুরী বলেন কল্যানগ্রাম-৬ ডাঙ্গালপাড়ার বাসিন্দা ছোটন মির্ধার ছেলে জগন্নাথ মির্ধা সাথে ওই পাড়ার বাসিন্দা টুলু দাসের মেয়ে মিনু দাসের সঙ্গে কল্যানগ্রাম-৫কালি মন্দিরে শুভ বিবাহ করা হল।তাদের এই বিয়ের দিন প্রায় ৬মাস আগে দিন ঠিক হয়েছিল,তারা গরীব পরিবারের মানুষ আর একি পাড়ার বাসিন্দা তাই ওদের বিয়েটা না পিছিয়ে, বিয়েটা করিয়ে দিয়া হল।
কোরোনা ভাইরাসের জন্য সারা দেশে লকডাউন এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার আবেদন করেছেন সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখতে বলেছে তাই আজ আমরা সব সুরক্ষা বজায় রেখে, ছেলে ও মেয়ে সহ পরিবারের সদস্যরা যারা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তাদের মুখে মাস্ক পরিয়ে,হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে,দূরত্ব বজায় রেখে বিয়ে দিলাম।
তাদের বিশেষ কিছু উপহার দিতে পারিনি এরা দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য, তাই ওদের হাতে কিছু দিনের জন্য চাল, আলু, তেল, ডাল প্রভৃতি খাদ্যদ্রব্য তুলে দিলাম এবং আমি ও আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বদায় ওদের পাশে রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বরের বাবা ছোটন মির্ধা এবং কোনের বাবা টুলু দাস বলেন তাদের ছেলে মেয়ের বিয়ের দিন আগে ঠিক করা হয়েছিল, বাড়ি থেকে বিয়ে হবার কথা ছিল,
কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন চলছে, এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী দূরত্ব বজায় রাখতে বলেছে, তাই বিয়ের দিনটা না পিছিয়ে আমার উত্তররাম জিৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাপস চৌধুরী ও আমাদের গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বলাই বাদ্যকর সহযোগিতা নিয়ে কল্যাণগ্রাম-৫ কালিমন্দিরে বিবাহ টা করলাম।
আমরা মোট পুরোহিত নিয়ে ১০জন সদস্য ছিলাম,প্রধান তাপস চৌধুরী আমাদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে বিবাহটি সম্পন্ন করায়,এবং আমরা দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার তাই তিনি উপহার হিসেবে চাল,ডাল, তেল, আলু তুলে দেয়।
এলাকার মানুষ প্রধান তাপস চৌধুরী এই উদ্যোগকে সুধুবাদ জানায়।
