সর্বক্ষণের কর্মীরাই এবার শুধু থাকতে পারবেন পার্টির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে। চাকরিজীবী বা অন্য পেশায় রয়েছেন এরকম কোনও নেতা জেলা পার্টির এই শীর্ষপদে জায়গা পাবেন না। কঠোর সিদ্ধান্ত নিল আলিমুদ্দিন । জেলা পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব যাতে পার্টির কাজেই সর্বক্ষণ মনোনিবেশ করতে পারে সেদিকে বিবেচনা করেই মূলত সিপিএম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই নয়া বিধিতে বাদ পড়তে পারেন জেলার তাবড় নেতারা।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী জানালেন, “নিজের জন্য নয়, মানুষের জন্য রাজনীতি। আমরা এই মনোভাব নিয়েই চলি। মানুষকে গুরুত্ব দিতে হবে।” সিপিএমেরা কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘পার্টির কাজটা সর্বক্ষণের। দশটা-পাঁচটা ডিউটি নয়।’’

সম্প্রতি সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে সেই নির্দেশ জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য কমিটির এক সদস্যের কথায়, এতদিন শিক্ষক থেকে শুরু করে অন্য পেশার সঙ্গে যুক্তরাও পার্টির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে থাকতেন। সেই নেতা ২৪ ঘণ্টা পার্টির কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারতেন না। আগামীদিনে পার্টিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে জেলার শীর্ষনেতৃত্ব যাতে সবসময় সংগঠনের কাজে থাকতে পারে সেটা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হুগলির রূপচাঁদ পাল ছিলেন কলেজের অধ্যাপক। সাংসদ থাকাকালীন তিনি হুগলি জেলা পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।