মীর ওজল ( খন্ডঘোষ ) :- করোনা অতিমারীর সময়কালে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন তারা গ্ৰামে গ্ৰামে । মানুষকে সতর্ক সচেতন যেমন করেছেন পাশাপাশি সকলকে পৌঁছে দিয়েছেন স্বাস্থ্য পরিষেবা । বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন করোনা আক্রান্তদের । কিন্তু যে বেতন কাঠামো পরিবার্তন করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তার কোনো কার্যকারিতা আজ ও হয় নি । এমনকি যে সমস্ত কর্মীরা কাজ করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের এক লক্ষ টাকা করে সহায়তা।দেবার ঘোষনা করা হয়েছিলো ।
তা ও পূরণ হয়নি । এই অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামলেন পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ ব্লকের আশা কর্মীরা । স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশে থেকে তারাও দিন রাত কাজ করেন কিন্তু তারা মর্যাদা পান নি। আন্দোলনকারী আসা কর্মীরা সর্বপ্রথম খণ্ডঘোষ বিধানসভার বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাঘের কাছে বিভিন্ন দাবি দাবা নিয়ে ডেপুটেশন জমা করেন এবং সম্পন্ন বিষয়টি যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয় তার আবেদন করেন আশা কর্মীরা।

বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ আশা কর্মীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি দাবা নিয়ে আমার কাছে একটি ডেপুটেশন জমা দেয়া হয় আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং দ্রুত তাদের সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় সেই বিষয়ের উপর আমার নজর থাকবে। এরপর আসা কর্মীরা খণ্ডঘোষ পাঠান পাড়া মোড় থেকে শুরু করে খণ্ডঘোষ হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। এরপর এদিন আশা কর্মীরা বর্ধমান বাঁকুড়া রাস্তায় অবরোধ করেন খন্ডঘোষ হাসপাতাল মোড়ে । বেশ কিছুক্ষণ অবরোধের জেরে থমকে যায় যানবাহন চলাচল । রীতিমতো পোষ্টার ব্যানার হাতে আন্দোলনে নামেন আশা কর্মীরা ।
পরবর্তী সময়ে খন্ডঘোষ থানার পুলিশ এসে অবরোধ মুক্ত করে রাস্তা । স্বাভাবিক হয় যানবাহন চলাচল । আন্দোলনকারী আশা কর্মীরা খন্ডঘোষ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অম্বরীশ বিশ্বাস এর হাতে স্মারকলিপি ও তুলে দেন । দাবী পূরণ না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলন করার কথা জানিয়েছেন আশা কর্মী ইউনিয়ন এর সদস্যরা ।
কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তা , পরিকাঠামো উন্নয়ণ এর ও দাবী রয়েছে আশা কর্মীদের ।