প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২১ সেপ্টেম্বর
কেন্দ্র ড্রামা করতে পছন্দ করে । তাই রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধান রাজীব কুমার কে গ্রেফতারের নামেও ড্রামা চলছে । প্রকৃতই যদি সারদা ও নারদা কাণ্ডের তদন্ত হত তাহলে এই ড্রামাবাজির দরকার হতনা । ’ শনিবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে অনুষ্ঠিত সরা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির প্রকাশ্য সমাবেশে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী বৃন্দা কারাত । মহিলা সমিতির অন্য রাজ্য ও জেলা নেত্রীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন ।
বৃন্দা কারাত তার বক্তব্যে আরো বলেন ,চিটফান্ড কান্ড নিয়ে মোদি সরকার পাঁচ বছর চুপ ছিল । এখনও চুপ আছে । কারণ সারদা ও নারদা কাণ্ডে যারা জড়িত তার অর্ধেক লোক এখন মোদির দলে চলেগেছে । নিজেদের লোককে কিভাবে বাঁচানো যায় তার চেষ্টা এখন মমতা ও মোদি দুজনই চালাচ্ছেন । কিন্তু চিটফান্ডে টাকা রেখে যারা সর্বশান্ত হয়েছেন তাদের কথা এই দুজনের কেউই ভাবছেন না । শুধু দুই দল একসাথে নিজেদের লোককে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
রাজ্যে এনআরসি চালু করা হবে বলে বিজেপি নেতারা যে হুংকার ছাড়ছে তার প্রসঙ্গে বৃন্দা কারাত বলেন , আমাদের দল সারা দেশের কোথাও এনআরসি চায়না । অসমে একটা ঐতিহাসিক ভাবে এনআরসি হয়েছে । সেখানকার অনেক প্রকৃত বাঙালি নাগরিকের নাম এনআরসি তালিকায় বাদগেছে । এটা অন্যায় হয়েছে । বৃন্দা কারাত অভিযোগে বলেন , এই অন্যায়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধায় দায় এড়াতে পারেন না । অসমে এনআরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি দায় থাকতে পারে ? এই প্রশ্নের উত্তরে বৃন্দা কারাত বলেন ,‘ অনেক বাঙালি মহিলা বিয়ে হয়ে অসমে গেছেন । তাদের বৈধ বাসিন্দা সার্টিফিকেট মমতা সরকারের দেবার কথাছিল । কিন্তু দেওয়া হয়নি । বৃন্দা কারাত স্পষ্ট জানিয়েদেন , এইসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলায় এনআরসি চালু নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলছেন সেটাকে নিয়ে সিপিআইএম দল কোন গুরুত্ব দিচ্ছেনা । দেশের নাগরিকদের আধার কার্ড , ভোটার কার্ড ও প্যান কার্ড রয়েছে ।তা সত্ত্বেও দেশের মানুষকে আতঙ্কগ্রস্থ করে রাখতে বিজেপি নেতৃত্ব এনআরসি চালুর কথা বলে চলেছেন । এসব করতে দেওয়া হবেনা ।