অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে বাঁক নিয়ে আরো শক্তিশালী হবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। বাঁক নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড়। অভিমুখ বাংলা উপকূল। উড়িষ্যা উপকূল বরাবর এগিয়ে পুরীর কাছে স্থলভাগ স্পর্শ করতে পারে ঘূর্ণিঝড় এর একাংশ। এর গতিবেগ হতে পারে সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। পুরীর পরেই শক্তিক্ষয় করবে জাওয়াদ। নিম্নচাপ রূপে বাংলা উপকূলে পৌঁছোবে। এর জেরে বাংলায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। ঘূর্ণিঝড় জেওয়াদ ধেয়ে আসতেই চাষিদের মাথায় হাত ।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জেওয়াদ, যার জেরে মাঝে মধ্যে ঝির ঝির বৃষ্টি হচ্ছে। পথ ঘাট অনেকটাই শুনশান , শেষ সময়ে চাষীদের ব্যস্ততা ফসল(ধান )ঘরে তোলার। কিন্তু কতটা ফসল তুলতে পারবে তা নিয়ে অনেকটাই অনিশ্চয়তায় রয়েছে চাষিরা। এমনিতেই গত এক বছরে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে চাষীদের।
আবারও অকাল সময়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় জেওয়াদ ইতিমধ্যে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে চাষীদের। বর্ধমান জেলার দক্ষিণদামোদর সংলগ্ন বিভিন্ন প্রান্তের ধান চাষীরা ধান কাটা শুরু করে দিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় জেওয়াদ আছড়ে পড়ার আগেই। একাংশ ধান চাষীদের দাবি এখনো অনেক ধান পাকা শুরু করেনি, কিন্তু কাটতে তারা বাধ্য হচ্ছেন।
এক তো শোষক পোকার আক্রমণে অনেক চাষী ক্ষতির মুখে তাই এই মুহূর্তে ধান যদি কেটে না নেওয়া যায় আবারও বড়োসড়ো ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। এমনিতেই অনেক ধান চাষী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করে থাকেন, এরপরেও যদি বড়োসড়ো ক্ষতি হয় তাহলে আর ঋণ শোধ করতে পারবেন না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন চাষিরা।
