আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

চোখের আলোয় দেখেছিলাম চোখের বাহিরে

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

কৃষকসেতু ,বর্ধমান: পুজোর আর হাতে গোনা কয়েকটাদিন বাকি।  চলছে মণ্ডপ থেকে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দিনরাত জোর কদমে কাজ করছেন মণ্ডপ থেকে প্রতিমা শিল্পীরা। থিমের ভিড়ে পুজোয় এবার বর্ধমানে লড়াই তুঙ্গে উঠতে চলেছে সার্বজনীন পুজো গুলি।

বর্ধমান শহরের বেঙ্গল ফেইথ মেডিকার হসপিটাল শ্যামলাল সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি এবারে ৭৫ বছরে পা দিল। পুজোর বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। পুজোর প্রাক্তন সম্পাদক সুব্রত মিত্র জানিয়েছেন, এবারে তাঁদের থিম স্পর্শ। অন্ধত্বকে দূর করার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা বার্তা দেবার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। চোখ এবং চোখের বিভিন্ন উপাদানকে সামনে রেখে মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া পুজোর থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই তাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন মরণোত্তর চক্ষুদান কর্মসূচীতে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০জন এই অঙ্গীকার করেছেন বর্ধমান হসপিটালে।

মণ্ডপ সজ্জা এবং থিম তৈরী করেছেন শিল্পী নির্মল শীল। মূর্তি তৈরী করেছেন নারায়ণ চন্দ্র পাল। সাবেকী একচালের প্রতিমা। পুজো কমেটির সহ সম্পাদক রাজীব মণ্ডল জানিয়েছেন, দৃষ্টিহীনদের সুবিধার্থে তাঁরা গোটা মণ্ডপকে এমনভাবেই তৈরী করছেন যে তাঁরা স্পর্শ করেই থিমের বিষয়বস্তু বুঝতে পারবেন। এরই পাশাপাশি বিভিন্ন দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীদের জন্য তাঁরা একজন বিশেষ প্রশিক্ষক রাখারও উদ্যোগ নিয়েছেন।

আলোর কারসাজির পাশাপাশি থাকছে সাউণ্ড সিস্টেমও। গোটা মণ্ডপকে গড়ে তোলা হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব বিষয় দিয়ে। আর শ্যমলাল সার্বজনীন দুর্গা পূজার এই অভিনব উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন একটি স্বাস্থ্য পরিষেবামূলক সংস্থা। সংস্থার সিইও সঞ্জয় সিনহা মহাপাত্র জানিয়েছেন, সামাজিক এমন একটি উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে তাদের ভাল লাগছে।

See also  ব্যাংক প্রতারণার সাথে সাথে নতুন উপায়ে ফোন পে থেকে প্রতারণা ভদ্রেশরের শেখর সরকারের সাথে

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি