আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বেসরকারী হাসপাতালে বাবার মৃত্যুর ঘন্টা দু’য়েক পর হাসপাতালের বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল ছেলে

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

বেসরকারী হাসপাতালে বাবার মৃত্যুর ঘন্টা দু’য়েক পর হাসপাতালের বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল ছেলে। মৃতের নাম
অশোক রুইদাস (২২)।বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের
খণ্ডঘোষের তোড়কনা গ্রামে। আত্মঘাতী অশোক তৃতীয় বর্ষে পাঠরত ইংলিশ অনার্সের ছাত্র। আকস্মিক এই ঘটনায় স্তম্ভিত বাড়ির লোকজন ও পড়শিরা।

সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বাবার কার্তিক রুইদাসের(৪৯)। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে বর্ধমানের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে একটি বেসরকারি নাসিংহোমে ভর্তি থাকার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় কার্তিক রুইদাসকে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আট দিন আগে।

দাদা অলোক রুইদাস বলেন,সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার বাবার মৃত্যুর খবর আসতেই ভাই অশোক তাকে খবরটা জানায়। মা ভেঙে পড়বে বলে মাকে তারা কিছুই জানাইনি। এরপর সাড়ে নটা নাগাদ একটা ফোন আসতেই বেরিয়ে যায় অশোক। ভাইকে খুঁজতে বেরিয়ে যায় । বার বার ফোন করলেও সে ফোন কেটে দিয়েছিল। অবশেষে সে তার দাদার ফোনে একটি ম্যাসেজ পাঠায় “বাবার মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী”।

ঘটনার আধঘন্টা পর হাসপাতাল চত্বরে দাদা দেখতে পান ভাই হাসপাতলের পাঁচ তলা বিল্ডিংয়ের উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে হাসপাতালের ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি শ্যামল দত্ত বলেন, কার্তিক রুইদাস ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে বর্ধমানের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে একটি বেসরকারি নাসিংহোমে ভর্তি থাকার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আট দিন আগে।
সোমবার বিকেলে বাবার মারা যাওয়ার পর রাতে হাসপাতালের পাঁচ তলা বিল্ডিংয় থেকে ঝাঁপ দিয়ে ছোট ছেলে অশোক রুইদাস আত্মঘাতী হয়। বিধাননগর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আজ ময়নাতদন্তের পর বাবা ছেলের দেহ বাড়িতে আসে।

See also  সূর্য অস্ত যাবার সাথে সাথে অর্ধেক বিশ্ব অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পরে ! সিরিয়াল দেখা থেকে পড়াশোনা, সবকিছুই অধরা রয়ে যেত ! আবিষ্কার হলো বাল্ব

দাদা অলোক রুইদাস জানান,ইংলিশ অনার্স শেষ করে ব্যাঙ্গালোরে পড়তে যাওয়ার কথা ছিল অশোকের। সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। মঙ্গলবার বাবা ও ছেলের মৃত দেহ খণ্ডঘোষের তোরকোনা বাড়িতে পৌঁছায়। এলাকায় শোকের ছায়া।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি