পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম। শুধু পেঁয়াজ কেন? বাজার পুরো অগ্নিমূল্য। মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাজারে প্রায় সব সবজিতে হাত দিলেই ছ্যাঁকা লাগছে। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোজা বাজারে ঢুঁ মারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
নবান্নে যাওয়ার পথে ঘুরে দেখলেন যদুবাবুর বাজার।এদিন সকালে নবান্নে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে প্রথমেই ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে (Jadubabu Market) পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। জানেন, বাজারে ১৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ(Onion Price) বিক্রি হচ্ছে।এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

তাঁদের কাছে জানতে চান, কেন এত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন? কত দামে তাঁরা পেঁয়াজ কিনছেন? কোথা থেকে পেঁয়াজ আনছেন? জবাবে, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, তাঁরাই ১৪৫ টাকা দামে পেঁয়াজ কিনছেন।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার পর গাড়িতে উঠে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। নামার কোনও লক্ষ্মণই নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্য রাজ্য থেকে পেঁয়াজ এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই অবস্থায় আজ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নিজে ময়দানে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রসঙ্গত, দাম যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে আজ সোমবার থেকেই রেশনে পেঁয়াজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
বাজারদরের অর্ধেক দামে রেশনে মিলবে পেঁয়াজ। রবিবার একথা জানান রাজ্যের মুখ্য কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আপাতত পাইকারি বাজার থেকে ভর্তুকি দিয়ে পেঁয়াজ কিনে ৯৩৫টি কাউন্টারে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। এর খরচ বহন করবে সরকার।
পরিবার পিছু ১ কেজি পেঁয়াজ দেবে সরকার। কেজি পিছু দেওয়া হবে ৫০ টাকা ভর্তুকি। এক্ষেত্রে পেঁয়াজের দাম পড়তে পারে ৫৯ টাকা প্রতি কেজি।