আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

সেচ খালের পাড় দখল করে দেদার তৈরি হচ্ছে পাকা বাড়ি – নিরব সেচদপ্তর

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- প্রশাসনের কর্তারা ভোটের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। তার সুযোগ নিয়ে সেচ দপ্তরের কর্তাদের কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়েই সেচ খালের পাড়ের জমি দখল করে দেদার তৈরি হচ্ছে পাকা বাড়ি।পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকায় ওই সব বাড়ি কেনও ভূমিহীন পরিবারের লোকজন করছেন এমনটা নয় ।সেচ খালের পাড়ে ওইসব বাড়িগুলি তৈরি করছেন কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকারই বিত্তশালী পরিবারের লোকজন। তা নিয়ে এলাকার চাষি মহলে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে।সেচ খালের পাড় দখল করে তৈরি হওয়া পাকা বাড়ি গুলি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এলাকার চাষিরা সেচ দপ্তরের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ।


জামালপুরের মেমারি-তারকেশ্বর রোডে হালাড়া থেকে চৌবেড়িয়া পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার একপাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে সেচ খাল। ওই সেচখালের জলেই বিস্তির্ণ এলাকার চাষ জমি , বিশেষত তিন ফসলি জমিতে চাষাবাদ করেন চাষিরা।সেচ খালের পাড় ধসে পড়া আটকাতে সেখানে প্রচুর গাছ লাগানো আছে ।
কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকার চাষিদের অভিযোগ আগে সেচ খালের পাড়ের দখল নিয়ে সেখানে সারা বছর বালি মজুত করে রাখতো বালি কারবারিরা ।তার কারনে পাইপের সাহায্যে রাস্তার বিপরিত দিকের জমিতে সেচের জল নিয়ে যেতে পারতেন না চাষিরা ।এছাড়াও সেচ খালের পাড়ে মজুত রাখা বালি সেচ খালে গড়িয়ে পড়ে খালের গভীরতা অনেক কমেও গিয়েছে ।এখন সেচ খালের পাড়ে বালি মজুত রাখা বন্ধ হলেও শুরু হয়েছে সেচ খালের পাড় দখল করে একের পর এক পাকা বাড়ি তৈরির কাজ ।এলাকার চাষিরা মঙ্গলবার বলেন , যারা বাড়ি গুলি তৈরি করছেন তারা কেউ ভূমিহীন পরিবারের লোকজন নন । সবাই বড় ব্যবসায়ী ও ধনী পরিবারের সদস্য । কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকায় সেচখালের পাড়ে থাকা গাছ গুলিও সন্তর্পণণে কেটে দেওয়া হয়েছে ।তারপর থেকে শুরু হয়েছে পাড় দখল করে দেদার পাকা বাড়ি তৈরি।চাষিরা জানিয়েছেন,যে ভাবে সেচ খালের পাড় দখল করে বাড়ি তৈরি হচ্ছে তার ফলে জমিতে সেচের জল পাওয়ার ক্ষেত্রে আগামী দিনে চাষিদের চুড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হবে ।

জামালপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপ প্রধান অলোক ঘোষ বলেন , বছর তিনেক আগে সারাংপুর এলাকার এক বালি কারবারী সারাংপুরে সেচ খালের জায়গা দখল করে বেআইনি ভাবে পাকা বাড়ি তৈরি করছিলেন । সেচ দপ্তরের কর্তারা পুলিশের সাহয্য নিয়ে বুলডোজার চালিয়ে সেই বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছিলেন ।চাষি স্বার্থে কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকায় সেচ খালের পাড় দখল করে যেসব পাকা বাড়ি গুলি তৈরি হচ্ছে সেই গুলিও সেচ দপ্তর গুঁড়িয়ে দিক ।নয়তো এলাকার চাষিরা যে ভাবে ক্ষোভে ফুঁষছে তারা যে কোন দিন এই বিষয়টি নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করে দিতে পারে’ ।


সেচ দপ্তর অবৈধ নির্মান বন্ধে কি ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানতে এদিন জামালপুর সেচ দপ্তরের সাব ডিভিশনাল অফিসার দীনেশ ঠিকাদারকে একাধীক বার ফেন করেও যোগাযোগ করা যায়নি । ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিমি দূরে জামালপুরের সেচ দপ্তরের অফিসে গিয়েও কোন আধিকারিকের দেখা পাওয়া যায়নি ।তবে একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার(লোয়ার দামোদর ইরিগেশন সার্কেল) তপন পাল কে ঘটনা সবিস্তার জানানো হলে তিনি বলে , “এই বিষয়ে কিছু জানা নেই । খোঁজ নিয়ে দেখছি ।বেআইনি ভাবে সেচ দপ্তরের জায়গা দখল করে যারা পাকা বাড়ি তৈরি করছেন তাদের বিরুদ্ধে যথা যথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ”

See also  মহিলা কলেজে ফটোগ্রাফি বিষয়ক কর্মশালা

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি