প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- অন্তরাত্মা চাইছিল । তাই শুক্রবার নাটকীয় ভাবে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস দলও ছেড়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী।তবে দীনেশ ত্রিবেদীর অন্তরাত্মার চাওয়া পাওয়া ও পদত্যাগের বিষয়টিকে কোন গুরুত্বই দিতে চাইছেন না তৃণমলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব । ত্রিবেদী যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কোন নেতা নন এবং তিনি দল ছাড়ায় তৃণমূলের কিছু যে যায় আসে না সেটা শনিবার স্পষ্ট করেদিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ।মন্ত্রীর কথাতেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছে দীনেশ ত্রিবেদীকে তৃণমূল এখন কার্যত বহিরাগতর কোটাতেই ফেলে দিয়েছে।
এদিন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার ‘বুড়োপীর প্রগতি সংঘের’ সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় । উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন ,“দীনেশ ত্রিবেদী ধারাবাহিক ভাবে তৃণমূল পার্টির লোক খুব একটা ছিলেন না।উনি অন্য প্রদেশের লোক।দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ হয়েছিল । তারপরে উনি আমাদের পার্টিতে এসে ছিলেন । সাংসদ হয়েছিলেন, মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে হয়তো উনি কিছু ভেবে রেখে ছিলেন । তবে দীনেশ ত্রিবেদী ট্রাডিশনাল কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির মানুষই নন । “ একই সঙ্গে সুব্রত বাবু বলেন , “ভোট আসলেই কেউ কেউ এরকম ভাবে চলে যায় । আবার অনেকে জয়েনও করে । এগুলো আমাদের প্রাত্যহিক দিনের কাজের মতোনই হয়ে থাকে নির্বাচনের আগে আগে।“
বিজেপির রথ যাত্রাকে কটাক্ষ করে সুব্রত বাবু বলেন ,“উড়ো জাহাজ সহ অনেক কিছুই আসছে । তাতে চড়ে যারা আসছে তারা সবাই আমাদের এখানে ‘ফরেনার’ । বিদেশীদের দ্বারা আমাদের দেশ আক্রান্ত হয়েছে ঠিকই , কিন্তু কোনো দিনই তারা জয়লাভ করতে পারেনি । এবারেও পারবে না । ’শুক্রবার বামের ডাকা ধর্মঘটকে কটাক্ষ করে সুব্রত বাবে বলেন , ’ওরা ফিরে আসার একটু চেষ্টা করছে । তবে ওরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে খুশি হব ,যদি ফিরে আসতে পারে ! গত নির্বাচনে ওদের অনেক ভোট বিজেপিতে চলে গিয়েছিল । তার জন্যই বিজেপি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অনেকগুলি সাংসদ পেয়ে গেছে । সেই ভোট গুলো এবার যদি ওদের কাছে ফিরে আসে তাহলে তো আমরা খুশি হবোই।
