আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

পুকুরে ডুবদিয়ে হাঁতরালেই মিলছে টাকা ও গহনা – চাঞ্চল্য মেমারিতে

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- পুকুরে ডুবদিয়ে হাঁতরালেই মিলছে ৫০০,২০০০ টাকার নোট,কয়েন ও গহনা।এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার তোলপাড় পড়ে যায় পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ ব্লকের কুচুট পঞ্চায়েতে বড়মশাগোড়িয়া গ্রামে। টাকা গহনা পাবার জন্য সকাল থেকে প্রচুর মানুষ ওই পুকুরে নেমে পড়েন । খবর পেয়ে বিকালে মেমারি থানার পুলিশ ওই পুকুর পাড়ে পৌছে সব লোকজনকে হটিয়ে দেয় ।এরপর পুলিশই পুকুরে লোক নামিয়ে জাল ফেলে খোঁজ চালানো করায়। তখনও উদ্ধার হয় কিছু টাকা। ঘটনার রহস্য উদ্ধারে জন্য পুলিশ স্থানীয়দের ওই পুকুরে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ।
কুচুট পঞ্চায়েতের বড়মশাগড়িয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে রয়েছে পুকুরটি । এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান বলেন ,
“পুকুরে ডুব দিয়ে হাঁতরালে টাকা মিলছে এমন খবর গত দু -তিন দিন ধরেই রটছে ।শুক্রবার সকাল থেকে ওই পুকুরে প্রচুর লোক নেমে পড়ে ।এই খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায় । পুকুরে জাল ফেলানো হলে কিছু টাকা পাওয়া যায় । সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । পুকুরে কিভাবে টাকা এল খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ”

 

Krishaksetu Bangla
বড়মশাগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সেখ মনসুর আলি ,সোলেমান মল্লিক প্রমুখরা বলেন ,
কিছুদিন আগে পুকুর পড়ের বাসিন্দারা পুকুরে টাকা ভাসতে দেখেন ।তার পর থেকেই লোকের মুখে মুখে রটেযায় পুকুরে ডুবদিয়ে হাঁতরালেই মিলছে ৫০০,২০০০,১০০,৫০ ও ২০ টাকার নোট ও কয়েন ।এছাড়াও সোনা ও রুপোর গহনাও মিলছে বলে অনেকে বলেন । এই খবর রটে যায় গোটা গ্রাম জুড়ে ।টাকা ও গহনা পাবার জন্য এদিন সকাল থেকে প্রচুর মানুষ ওই পুকুরে নেমে পড়েন ।
খবর পেয়ে বিকালে মেমারি থানার পুলিশ পুকুর পাড়ে পৌছে সবাইকে পুকুর থেকে তুলে দেয় । এরপর পুলিশ পুকুরে জালফেলা করায় ।তাতে কিছু টাকা উদ্ধর হলে পুলিশও অবাক হয়েযায় । সোলেমান মল্লিক বলেন ,পুকুরে টাকা কিভাবে এল তার তদন্তের জন্য পুলিশ অফিসারা পুকুরে কাউকে নামতে নিষেধ করেদিয়ে গেছে । নির্দেশ অমান্য করে কেউ পুকুরে নামলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে । পুলিশের লোকজন পুকুরে নজরদারি চালাচ্ছে ।
See also  আজকের দিন আপনার কেমন যাবে দেখে নিন এক ক্লিকে

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি