প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়
বাবা মা মোবাইল কেনার টাকা দিতে না পারায় অভিমানে আত্মঘাতী হল নবম শ্রেণীর ছাত্রী । মৃতার নাম পম্পা মালিক (১৪)। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার ফকিরপুর গ্রামে । মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ । খবর পেয়ে রায়নার সেহারাবাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায় । ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রায়না ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষনা করেন । অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে , পম্পা মালিক সেহারাবাজার রাধারানী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী । তাঁর পরিবার আর্থিক ভাবে দুর্বল ।ছাত্রীর বাবা পিরুপদ মালিক ক্ষেতমজুরির কাজ করেন । বেশকিছুদিন ধরে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনেদেবার কথা পম্পা তার বাবা মাকে বলে আসছিল ।
টাকা পয়সা জোগাড় হলে পরে ফোন কিনেদেবেন বলে পম্পাকে বলেছিলেন পিরুপদবাবু । তাসত্ত্বেও এদিন সকালে একই ভাবে মোবাইল ফোন কিনেদেবার কথা পম্পা তাঁর বাবা মাকে বলে । তারজন্য পম্পাকে বকাবকি করে তাঁর বাবা । এরপর বেলা ১০টা নাগাদ ছাত্রীর মা গবাদি পশুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে চলেযায়। ক্ষেতমজুরির কাজে বেরিয়ে যায় বাবা । অনেকটা দুপুরে তারা বাড়ি ফেরেন ।
গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দদে বলেন , বাবা মা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যাবার পরেই অভিমানে আত্মঘাতী হয় ছাত্রী । ছাত্রীর বাবা মা বলেন , সামান্য একটা মোবাইল ফোনের জন্য মেয়ে যে এইভাবে নিজের জীবনটাই শেষ করেদেবে তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেন নি । রাধারানী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সর্বাণী মুখোপাধ্যায় জানান, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। মোবাইল ফোনের জন্য ছাত্রী শম্পা এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটালো শুনে সত্যি অবাক লাগছে ।

আরো পড়ুন- ইউটিউব এর ইতিহাসে Sadak 2 ছবির ট্রেলারে ১২ মিলিয়ন ডিজলাইক এর কারণ জেনে নিন।