আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বিশ্ব শান্তি ও সংস্কৃতির মঞ্চে ড. তারুণ পালের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

সাংস্কৃতিক বিনিময় ও বৈশ্বিক উন্নয়নের পথে এক গৌরবময় অগ্রগতির সাক্ষী হল আন্তর্জাতিক মঞ্চ। ভারত থেকে খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা ও শান্তি দূত ড. তারুণ পাল সম্প্রতি নিযুক্ত হয়েছেন সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিশ্ব সাংস্কৃতিক ও শিল্প সংস্থা Federation of World Cultural & Art Society (FOWCAAS)-এর গ্লোবাল অনারারি অ্যাডভাইজার হিসেবে। এই নিয়োগ ১৪৫টিরও বেশি দেশের মধ্যে আন্তঃসাংস্কৃতিক সংহতি ও সৃজনশীল সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল।

FOWCAAS-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, এইচ.আর.এইচ চিফ গ্র্যান্ডমাস্টার জেসন ট্যান বেং সিয়াং, পিএইচ.ডি, একজন বিশ্ববন্দিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ডমাস্টার। তিনি “San Bian Shu” নামক এক জীবনদর্শনের প্রবক্তা, যেখানে প্রাচীন চীনা জ্ঞান ও আধুনিক বিজ্ঞান একসূত্রে গাঁথা। তাঁর নেতৃত্বে, FOWCAAS আজ বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক কূটনীতির এক শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

ড. তারুণ পালের এই নিযুক্তি কেবল একটি স্বীকৃতি নয়, বরং এটি দুইটি ঐতিহ্যবাহী ও দূরদর্শী চিন্তাধারার মিলন—যেখানে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও শান্তিকে কেন্দ্র করে গঠিত হচ্ছে এক নতুন বৈশ্বিক ঐক্য। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে আন্তর্জাতিক শান্তি দূত কর্মসূচি, ২০২৫ গ্লোবাল কালচারাল ক্যালেন্ডার, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে Cultural Innovation Hubs প্রতিষ্ঠা, এবং তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে বিভিন্ন সম্মেলন ও প্রকাশনাভিত্তিক কার্যক্রম।

এক বিবৃতিতে ড. পাল বলেন, “শিল্প ও সংস্কৃতি কেবল সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ নয়—এগুলো বিশ্বমানবতার বন্ধনের এক শক্তিশালী ভাষা।” তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, শিক্ষার মাধ্যমে সংস্কৃতি ও শান্তির উন্নয়ন সম্ভব, যা SDGs তথা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অপরদিকে গ্র্যান্ডমাস্টার ট্যানের ভাষায়, “সাংস্কৃতিক ঐক্য ও মানবিক শিক্ষা ছাড়া একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পৃথিবী কল্পনাও করা যায় না।”

এই ঐতিহাসিক অংশীদারিত্ব আজকের বিশ্বে এক উদাহরণ—যেখানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সীমানার বাইরে গিয়ে, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে গড়ে তোলা সম্ভব এক শান্তিপূর্ণ ও সংহতিপূর্ণ বিশ্ব সমাজ। ড. তারুণ পাল ও FOWCAAS-এর এই যুগান্তকারী উদ্যোগ আগামী দিনে বিশ্ব সংস্কৃতি, শান্তি ও শিক্ষা খাতে এক নতুন দিগন্ত রচনা করবে, এমনই আশা সবার।

See also  করোনা ভাইরাস নিয়ে লেখা এক কবিতা দেখেনিন এক ক্লিকে

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি