কৃষকসেতু নিউজ বাংলার প্রতিবেদক : বলিউড ডিভা ও সাবেক সাংসদ ও জয়া প্রদাকে পলাতক ঘোষণা করেছেন ভারতীয় আদালত। শুধু তা-ই নয়, অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গতকাল উত্তর প্রদেশের রামপুরের একটি আদালত সাবেক বলিউড তারকারা বিরুদ্ধে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, অভিনেত্রী – রাজনৈতিক জয়া প্রদার বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। সিনিয়র প্রসিকিউশন অফিসার অমরনাথ তিওয়ারি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়। এরপর একাধিকবার তাকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিশেষ এমপি-এমএলএ কোর্ট। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি।
মূলত আদালতে হাজিরা না দেওয়ার কারণে জয়া প্রদা’র বিরুদ্ধে মোট সাতবার জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তার পরও তাকে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। আদালতকে পুলিশ জানিয়েছে, জয়া বারবার গ্রেপ্তারি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তার সব কটি ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে বারবার। এই বিষয়টি আদালতে উঠলে বিচারক শোভিত বনসাল জয়া প্রদাকে পলাতক ঘোষণা করেন। আর রামপুরের পুলিশ সুপারকে বিচারক নির্দেশ দেন আগামী ৬ মার্চের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে হবে। এর আগে সিনেমা হল কর্মীদের দায়ের করা মামলায় জয়া প্রদাকে জেল ও জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে সাবেক এই সংসদ সদস্যকে ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন চেন্নাইয়ের আদালত। এই প্রদেশে জয়া’র মালিকানাধীন একটি সিনেমা হল রয়েছে।
জয়া প্রদা’র মালিকানাধীন এই সিনেমা হলের নাম ‘রাম কুমার ও রাজা বাবু’। এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স (ইএসআই) না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই হলের কর্মীরা। পাশাপাশি অভিনেত্রীকে একবার পাঁচ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। চেন্নাইয়ের এক থিয়েটার কর্মচারীর দায়ের করা মামলায় এই শাস্তি পেয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সাবেক এই জনপ্রিয় অভিনয় তারকা ২০০৪ ও ২০০৯ সালে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে লোকসভার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে দল থেকে জয়া প্রদাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর ২০১৯ সালে বিজেপির প্রার্থী হয়ে ফের নির্বাচনে লড়েছিলেন। কিন্তু ওই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।