এখন বর্ধমান শহরের কাছেই এবার মিলবে একদম আসল নলেন গুড়। যে গুরের মধ্যে থাকবে না কোন চিনি অথবা অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য। বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার অন্তর্গত ভিটে গ্রামের বাস স্ট্যান্ডের কাছেই রয়েছে এই দোকান। দোকানের নাম হোসেন খেজুর গুর ভান্ডার।তবে এখানে যারা গুড় তৈরি করছেন তারা সকলেই নদীয়া জেলার বাসিন্দা। নদীয়া জেলা থেকে এসে গুর ব্যবসা শুরু করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলায়।
জানা গেছে পূর্ব বর্ধমানের এই ভিটে গ্রামের বাসস্ট্যান্ডে ওনারা প্রায় তিন থেকে পাঁচ বছর যাবত এই গুড়ের ব্যবসা করছেন। প্রতিবছর শীতের মৌসুমে তারা এই জায়গায় আসেন গুড়ের ব্যবসা করতে। জায়গা এবং খেজুর গাছ দুটোই ওনারা স্থানীয়দের কাছে ভাড়া নিয়েছেন এবং শুরু করেছেন এই ব্যবসা। এখান থেকে গুড় কিনলে পাওয়া যাবে আসল খেঞ্জুর গুর। গুড় ব্যবসায়ী রমজান শেখ এই প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন, ভোরবেলা উঠে কিভাবে খেজুর রস সংগ্রহ করে সারাদিন ধরে খেজুর গুড় তৈরি করেন।


যদি বলে ঐ গুড় আসল নলেন গুড় নয় তাহলে ফেরত নিয়ে নেবেন বলেও জানালেন রমজান শেখ। তবে এতদিন ধরে খেজুরের যে ব্যবসা করছেন এখনো পর্যন্ত খারাপ রিপোর্ট পাননি বলেই জানান। এই গুড় ব্যবসায়ীদের কাছে আরো জানা গিয়েছে, ওনারা এখানে প্রায় ৪০০ পিস খেজুর গাছ ভাড়া নিয়েছেন। প্রত্যেকদিন বিকেলে প্রত্যেক খেজুর গাছে মাটি হারিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে আসে তারা। তারপরের দিন ভোর তিনটের সময় উঠে গাছ থেকে রস ভর্তি হাড়ি নামিয়ে এনে এক জায়গায় জড়ো করে।
তারপর হাঁড়ির মধ্যে থাকা রস ছেঁকে ঢেলে নেয় প্লাস্টিকের বড় জারের মধ্যে। রস নিয়ে এসে ঢালা হয় উনুনের ওপর থাকা চাপানো চৌকো টিনের পাত্রে। এরপর দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে রস ফোটানোর পর তৈরি হয় একেবারে আসল নলেন গুড়ের। এইভাবে গুড় তৈরি করে তারা বিক্রি করে। ভিটে গ্রামের হোসেন গুড়ের বেশ ভালো সুনাম রয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের এই গুড় ব্যবসায়ীরা তারা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জানিয়েছে, তারা যে গুড় বিক্রি করছে সেটা যদি ভেজাল হয় তাহলে তারা এই ব্যবসা বন্ধ করে দেবে। ইতিমধ্যেই বর্ধমানের অনেক খরিদ্দার এই জায়গায় গুড় কেনার জন্য ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। কৃষ্ণ সাহার রিপোর্ট