প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান, ৪ নভেম্বর: এসআইআর (SIR) নিয়ে এখন তপ্ত বঙ্গের রাজনৈতিক রণাঙ্গন।এমন আবহের মধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করলেন মিঠু মাঝি।বিষয়টি নিয়ে আশ্চর্য জনক ভাবে মুখে কুলুপ অাটেন জেলাপরিষদের সভাধীপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোাহার । তবে এ নিয়ে কোন রাখ ঢাক রাখেন নি মিঠু মাঝি। তাঁকে ফোন করা হলে তিনি জেলাশাসকের কাছে তার পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন । একই ভাবে মিঠু মাঝির পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি জেলাশাসক আয়েশা রানী এ স্বীকার করেছেন । যদিও এ নিয়ে তিনি বিশদে কিছু বলতে চান নি।

পদত্যাগের কারণ নিয়ে মিঠু মাঝি সংবাদ মাধ্যমের কাছে সবিস্তার খোলসা করেন নি। তবে নিজের বাসস্থান এলাকা জামালপুর ব্লকে থাকা দলীয় সতীর্থদের কাছে তিনি নানা হতাশার কথা ব্যক্ত করে ছিলেন । সতীর্থদের কথা অনুযায়ী‘, মিঠু মাঝি ঠুটোঁ জগন্নাথ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হয়ে থাকতে চান নি। তাই বিষয়টি তিনি জেলা সভাপতিকে জানিয়ে ছিলেন কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয় নি।তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন
স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এলো বলে রাজনৈতি মহল মনে করছে। যদিও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে,“মিঠু মাঝি বছর দেড়েক আগে নদীয়ার করিমপুরের একটি কলেজে সহকারী অধ্যাপিকা পদে যোগ দেন। একদিকে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবার অন্যদিকে কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা এই নিয়ে গত এক বছরে বিস্তর জল ঘোলা হয়। পঞ্চায়েত উন্নয়ন দপ্তরে তিনবার মিঠু মাঝির বিরুদ্ধে আরটিআই হয়।আরটিআইয়ের পরিপেক্ষিতে দপ্তর থেকে জানানো হয় এক ব্যক্তি দু’টি পদে কর্মরত থাকতে পারেন না।কারণ মিঠু মাঝি কলেজ থেকে লিয়েনের আবেদন করলেও তা মেলেনি। তাই তিনি ঘরে বাইরে বেশ সমস্যায় পড়েন।তাকে নিয়ে তৈরি হয় নানান বির্তক।








