প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান :- ভোটের উত্তাপের মাঝেই দাপট দেখাতে শুরে করে দিয়েছে কালৈশাখী।সেই কালবৈশাখী ঝড়ের
দাপটে তৃণমূল নেতা বাহী চারচাকা গাড়ি সেতু থেকে উড়ে গিয়ে আছড়ে পড়লো একেবারে দামোদরে।রবিবার সকালের এই ঘটনায় জখম হন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তপন কুমার দে এবং তাঁর সহকর্মী অভিজিৎ পোড়েল। চিকিৎসার জন্যে তপনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।অপর গুরুতর জখম অভিজিৎ
বর্ধমানের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । দুর্ঘটনায় তাঁর একটি হাত ভেঙে গেছে। কোমরে ও পায়েও মারাত্মক চোট লেগেছে। একই দিনে ঝড়ের দাপটের মধ্যেই বজ্রপাতে জেলার মেমারির পাল্লা ২ নম্বর ক্যাপ এলাকার বাসিন্দা ভিম কর (৫১) প্রাণ হারিয়েছে। তা নিয়ে শোকস্তব্ধ এলাকাবাসী ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তপন দে-র বাড়ি এলাকার মুইদিপুর গ্রামে ।একই গ্রামে বাড়ি অভিজিৎ পোড়েলের।জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূলের কার্যকরি সভাপতি ভূতনাথ মালিক জানান ,“ভোট সংক্রান্ত দলীয় কাজে যোগ দেওয়ার জন্য এদিন সকালে তপন ও অভিজিৎ বাড়ি থেকে বের হন।
চারচাকা গাড়িতে চড়ে তারা জামালপুরের দিকে আসছিল । তপন দে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
পথে অমরপুরে দামোদরের উপরে থাকা কাঠের সেতু যখন তাঁরা পার হচ্ছিলেন তখন প্রবল ঝড় ওঠে।
দমকা ঝড়ের দাপটে তৃণমূল নেতা বাহী চারচাকা গাড়িটি ওই সেতু থেকে কার্যত উড়ে গিয়ে দামোদরে অছড়ে পড়ে উল্টে যায় । এই ঘটনার গাড়িতে থাকা দুই আরোহীই জখম হন। এলাকার মানুষজন ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। ঝড়ে দাপটে এলাকার কয়েকটি বাড়ির চালা উড়ে গিয়েছে বলে ভূতনাথ মালিক জানিয়েছেন“।
ব্লকের অপর নেতা তাবারক আলী মন্ডল জানিয়েছেন,তপন ও অভিজিৎকে প্রথমে জামালপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে তপন দে কে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিকালে বর্ধমান হাসপাতাল থেকে ছুটি পান তৃণমূল নেতা তপন ।তবে গুরুতর জখম হওয়ায় অভিজিৎ বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্ঘটনার বিভৎসতা বর্ণনা করতো গিয়ে তপন দে বলেন, “এক মহুর্তের দমকা ঝড়ে যে এমন ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে তা কল্পনাও করতে পারি নি। বরাত জোরে প্রাণে রক্ষা পেয়ে গিয়েছি। কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গে হওয়া ৩-৪ মিনিটের টর্নেডোর দাপট টেলিভশনে দেখেছি । আজ আমি ও আমার সহকর্মী এদিন যেন সেই রকমই ভয়াবহ ঝড়ের দাপটের মুখে পড়লাম“ ।
জেলাশাসক কে রাধিকা আয়ার বলেন,“ ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো সম্পূর্ণ রিপোর্ট এসে পৌঁছায় নি।ব্লক প্রশাসন গোটা বিষয়টি দেখছে।