‘শুধু ফ্যাশন আছে। আর আছে ঘোষনার ফুলঝুড়ি। রয়েছেন রেলমন্ত্রীও। কিন্তু রেলকে দেখার কেউ নেই! অভিভাবকহীন, অনাথ’-এভাষাতেই কাঞ্চনজঙ্ঘা রেল দুর্ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে চড়া সুরে বিঁধলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাত্রী সুরক্ষা-স্বাচ্ছন্দ্য সব শিকেয় উঠেছে!কোথায় গেল অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস? প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী।

সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর পান মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ও রেল পুলিশকে নির্দেশ দেন। দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন দলের জনপ্রতিনিধিদের।
ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স-চিকিৎসক পাঠানো, আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু করানো, উদ্ধার কাজে বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠানো-সবটাই নিজে তত্ত্ববধান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটাও তিনি উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্রের সরকার যখন দুর্ঘটনার খবর পায়নি, তখন থেকে আমাদের রাজ্য প্রশাসন যথেষ্টভাবে তৎপর।
প্রশাসনিক এই কাজকর্মের মধ্যেই দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন মমতা। কিন্তু কলকাতা থেকে বাগডোগরা যাওয়ার বিমান স্বল্পতার কারণে সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে পৌঁছন তিনি। পৌঁছেই চলে যান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। উদ্ধার কাজের বিষয়ে খবর নেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত মমতার কাছে খবর এসেছিল, দুর্ঘটনায় মৃত ৮, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২০ জন।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পিছনে সরাসরি রেলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের সরকারের চূড়ান্ত গাফিলতি বলেও জানান তিনি। মমতা বলেছেন, গোটা রেল ব্যবস্থাটাই অভিভাবকহীন। রেলকে দেখতে পাওয়া যায় শুধু উদ্বোধনের সময়। যাত্রী সুরক্ষা-নিরাপত্তায় চূড়ান্ত অবহেলা। তুলে দেওয়া হয়েছে রেল বাজেট।