কল্যাণ দত্ত :- পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকের বেরুগ্রাম অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম বোঁয়াইচন্ডি গ্রামের বাসিন্দা তরুণ পাল বয়স ২২ বছর। পিতার নাম নিত্যানন্দ পাল পেশায় একজন কৃষক। কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহন করে নিজের স্বপ্নকে কখনো ছোট ভাবে দেখেনি তরুণ। বাল্যকাল থেকেই তরুণের মনে ছিল কিছু করার অদম্য প্রচেষ্টা। তরুণের ছাত্র জীবন শুরু হয় বোঁয়াইচন্ডি স্কুল থেকে পড়ে। বোঁয়াইচন্ডি স্কুল থেকে ৭৮% নাম্বার নিয়ে মাধ্যমিক পাস করে তরুণ ।
পরে উচ্চ মাধ্যমিক প্রস্তুতি নিতে ভর্তি হয় সেহারাবাজার চন্দ্রকুমার ইনস্টিটিউটে। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল তরুণ পাল। সেহারাবাজার চন্দ্রকুমার ইনস্টিটিউটে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করলেও অর্থনৈতিক অভাবে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি তার। পরে পিওর সায়েন্স এ ভর্তি হয়। সেহারাবাজার চন্দ্রকুমার ইনস্টিটিউট থেকে ৬৯% নাম্বার নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র তরুণ পাল। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর থেকেই কিছু করে দেখানোর লক্ষ্যে অবিচল থাকে সে। স্বপ্নের কোনও সীমারেখা হয় না। স্বপ্নপূরণের অদম্য ইচ্ছা মানুষকে পৌঁছে দেয় তার লক্ষ্যে।
তরুণের পশুপালনের দিকে ভীষণ ঝোক ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতে খরগোশ নেউল, কুকুর, পোষে। বাড়িতে এই সমস্ত পশু গুলি কোন কারনে এক সময় একের পর এক মারা যায়। পশু গুলি মারা যেতেই উদ্ভব হয় তরুণের মস্তিষ্কপ্রসূত কিছু ভাবনার। সে ঠিক করে, যে পশু গুলি মারা গেছে, সে গুলোকে ফেলে দেবে না পরিবর্তে তাদের শরীর এবং কিছু কেমন পশুর মাথা সংরক্ষণ করে রাখবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ।
পশু গুলি খুবই শখের ছিল তার। তারা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেও তাদের মধ্যে কিছু কেমন পশুর মাথা এবং কিছু কেমন পোষ্যর পুরো শরীর সংরক্ষণ করে রাখে তরুণ পাল।
সংরক্ষণ করে ‘হোম মেড’ পদ্ধতি অবলম্বন করে। প্রায় ১১ টির মত মৃত পশুর শরীর ও মাথা সংরক্ষণ আছে ৫ বছর যাবৎ। মাস চারেক পূর্বে হারবাল ওয়ারল্ড রেকর্ড(লন্ডন )সংস্থায় তরুণ তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে নাম নথিভুক্ত করে। শেয়ার করার পর একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে তারা যথোপযুক্ত সত্যতা যাচাই ও সমস্ত তথ্য যাচাই করণ পক্রিয়া চালায়, পরে তরুণ কে যোগ্য এবং সফল ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত করা হয়। পরবর্তীতে তরুনের নাম হারবাল ওয়ারল্ড রেকর্ড (লন্ডন)নথিভুক্ত করে এবং সার্টিফিকেট ও মেডেল ও প্রদান করে।