আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়ায় আরও দু’জনের মৃত্যু হল। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮। বর্ধমানের খাগড়াগড় পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মীর মেহবুব(২৬) ওরফে বাপ্পা এবং বাপন শেখ(২৮) নামে আরও দুজনের মৃত্যু হল। তাঁরা দু’জনেই বর্ধমানের কলেজমোড় এলাকার একটি হোটেল থেকে মদ কিনে খেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

 

 

পরিবার সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই হোটেল থেকে মদ খাওয়ার পরেই তাঁরা অসুস্থ বোধ করেন। ক্রমাগত বমি ও পেটে যন্ত্রণা হচ্ছিল, বলে জানায় পরিবার। এরা মাঝে মধেই কলেজ মোড়ের এই হোটেল থেকে মদ খেত বলে জানাচ্ছে পরিবার। অসুস্থদের মধ্যে মীর মেহবুবকে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাপন শেখকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিত্‍সা চলাকালীন মৃত্যু হয় দু’জনের।

 

 

পুলিশ ও আবগারি দফতরের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলছেন খাগড়াগড়ের বাসিন্দারা। সঠিক নজরদারি থাকলে এমনটা হত না বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। খাবারের হোটেলে কীভাবে মদ বিক্রি হয় এনিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার মানুষজন।

 

মৃতের পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্যর দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা । স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সেখ ফিরোজ জানাচ্ছেন, ওই হোটেলে মদ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে খাগড়াগড়ের দুই বাসিন্দার। ওই দোকানের মেয়াদ উত্তীর্ণ মদ থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে তার অনুমান।

 

 

 

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতেই বর্ধমান শহরে মদে বিষক্রিয়ার জেরে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর শুক্রবার সকাল হতে না হতে, সেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয় চার। ওইদিনই পরে আরও দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তিও রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এই পরিস্থিতিতে এবার আরও সক্রিয় জেলা প্রশাসন। শনিবার দিনভর তল্লাশি চলেছে শহরজুড়ে।

 

 

তারপর রাতেও একইভাবে তল্লাশি জারি বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। শনিবার রাতে বর্ধমানের লক্ষ্মীপুর মাঠ, গুড-শেড রোড, মেহেদীবাগান, গোলাপবাগ সহ একাধিক এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়।

See also  সালিশি সভায় হাজির না হওয়ার খেসারত গোনার দিন শেষ- পুলিশের সহযোগীতায় ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ফিরলেন বৃদ্ধা সাহানারা বিবি

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি