আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

“তৃণমূলের শত্রু তৃণমূলই” -জনসভার মঞ্চ থেকে ঘোষনা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২০ অক্টোবর

“তৃণমূলের শত্রু তৃণমূল-ই । আর এমনটা না হলে আগামী ১০০ বছরেও কোন বিরোধী দল বাংলার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে পারতো না । ”মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের সাহাপুরে অনুষ্ঠিত তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভা মঞ্চ থেকে এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ব্যক্ত করলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল ।আর কয়েকমাস বাদ পশ্চিমবঙ্গে হবে বিধানসভার নির্বাচন । তার প্রাক্কালে সুনীল মণ্ডলের এমন মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা তৃণমূল শিবিরে।যদিও এদিনের জনসভায় উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের দাবি সুনীল মণ্ডল বাস্তব সত্যটাই জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন ।

পূর্ব বর্ধমানের ২৬২ জামালপুর (তপঃ) বিধানসভা আশনটিকে এবার পাখির চোখ করেছে বিজেপি ।২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জামালপুরের বামদূর্গে ঘাসফুল ফুটলেও উলোটপুরাণ ঘটেযায় ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ।সেবার গোটা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ভাল ফল করলেও ভরাডুবি হয় জামালপুর বিধানসভা আশনে । বাম প্রার্থী সমর হাজারার কাছে পরাজিত হন তৃণমূল কংগ্রের প্রার্থী উজ্জ্বল প্রামাণিক । এবার জামালপুর বিধানসভা আশন ছিনিয়ে নিতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি ।স্বয়ং রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও কিছুদিন আগে জামালপুরের সাহাপুরে জনসভা করেযান । ওই দিন দিলীপ ঘোষের কনভয়ের পথ আটকে কালো পতাকা দেখানো নিয়ে অশান্ত হয় জামালপুরের জৌগ্রাম এলাকা। সংঘর্ষ বাঁধে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে । সেদিন সাহাপুরের জনসভা মঞ্চ থেকেই দিলীপ ঘোষনা করেন এবার জামলপুর আসনে পদ্ম ফুটবেই । দিলীপ ঘোষে দাবিকে নস্যাৎ করতে এদিন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান ও ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি ভুতনাথ মালিক সাহাপুরে পাল্টা জনসভার আয়োজন করেন। তাঁদের হাত ধরে প্রায় ৪ শতাধীক বিজেপি নেতা ও কর্মী এদিন তৃণমূলে যোগদান করেন । এদিনের জনসভায় বিপুল জনসমাগম হয় । সেই জনসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে সাংসদ সুনীল মণ্ডল দলের গোষ্ঠীদন্দ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ।

See also  বিনা মূল্যের চাল বিলি বন্টনে অনিয়ম আটকাটে পূর্ব বর্ধমানে রেশন দোকানে হানা টাস্কফোর্সের
krishaksetu Bangla
krishaksetu Bangla

তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল এদিন আরও বলেন ,দলের যারা সেদিন পথে নেমে দিলীপ ঘোষের বিরোধীতা করতে গেলেন ,তারা ঠিক করেন নি । আমি মনেকরি যারা ওইসব করেছেন তারা রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নেই । দিলীপ ঘোষের সঙ্গে এইসব করার জন্যই ওই দিন বিজেপির জনসভায় লোক বেড়ে গেল । বিজেপি ঝামেলা চাইছে । আর সেই ফাঁদেই পা দিয়ে ফেললে যা হয় তাই ওই দিন হয়েছে । সুনীল মণ্ডল ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের
সময়কার কথা উল্লেখ করে এদিন বলেন , লোকসভা ভোট সৌমিত্র খাঁ যখন বিজেপির প্রার্থী হয় তখন ওকে প্রচার করতে দেওয়া হল না । সৌমিত্রকে যদি প্রচার করতে দেওয়া হত তাহলে ও গোহারা হারতো । যারা সৌমিত্রকে সেদিন বাধা দিয়েছিলেন তারা আখেরে সৌমিত্রকেই মাইলেজ পাইয়ে দিয়েছিলেন ।

জামালপুর বিধানসভায় দলের গোষ্ঠীদন্দ নিয়েও বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকে একহাত নেন সুনীল মণ্ডল । তিনি বলেন , গত লোকসভা নির্বাচনে
জামালপুরের তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী যদি বিরোধীতা না করতো তাহলে তিনি ৪০- ৫০ হাজার ভোটের লিড পেতেন । মেহেমুদ খানের বিরোধী গোষ্ঠীকে ইঙ্গিত করে সুনীল মণ্ডল বলেন , যাদের সাংগাঠনিক শক্তি নেই , জনসভায় জনসমাগম ঘটানোর মুরোদ নেই
তাদের গোষ্ঠী করার কি আছে । ওই সব গোষ্ঠীর নেতাদের কেরামতি কেউ মানবে না ।
সুনীল এদিন সাফ জানিয়েদেন , আগামী বিধানসভা ভোটে জামালপুরে সাপ , কেউটে , নেউটেদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না । গত বিধানসভা নির্বাচনে জামালপুরে হার হলেও এবার আর হার নয় । জামালপুর আশনে এমন একজনকে প্রার্থী করা হবে যিনি সত্যিকারের জনপ্রতিনিধি হবেন । জামালপুর বাসীর মনের মানুষ হবেন । কেউ এবার চুলকাতে আসলে তাকে আর চুলকাতে দেওয়া হবে না । জামালপুর বিধানসভা আশনে তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে উপহার দেওয়া হবে ।

See also  বেকারত্ব থেকে সিঙ্গারা সম্রাট হয়ে ওঠার গল্প | অমলকান্তি ৩ ঘণ্টায় বিক্রি করেন ১২০০

 

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি