আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল সেহারা বাজার রহমানিয়া ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের বিভিন্ন শাখায় পরিদর্শন করলেন

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:-পূর্ব বর্ধমানের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেহারাবাজার রহমানিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট তাদের আন্ডারে প্রায় 16 টির বেশি প্রতিষ্ঠান জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মঙ্গলে কাজ করে যাচ্ছে। একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিষয়ক এক সম্মেলনে অংশ নিতে ভারতে আসা মালয়েশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল পূর্ব বর্ধমান জেলার সেহারাবাজারে অবস্থিত রহমানিয়া আল আমিন মিশনে বিশেষ সফরে এলেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ট্রাস্টের বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন করেন। বিদেশি এই সদস্যরা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সমৃদ্ধ এই সংস্থার সাফল্যে অভিভূত হন।

প্রতিনিধি দলের সদস্য নুর হালিনি বিন্তি ইলিয়াস, যিনি মালয়েশিয়ায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করতে বিশেষ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “বর্তমান যুগের শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। যুগোপযোগী শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার পরিবেশ উন্নত হলে সমাজ ও দেশ উপকৃত হবে।”মালয়েশিয়া থেকে আরও চারজন প্রতিনিধি এই সফরে অংশ নেন আজিরোহ বিন্তি আব্দুল আজিজ, সিতি নাদিয়া ও ডক্টর সুন্দর রাজন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মদক্ষ বিশ্বনাথ রায়, সর্বশিক্ষা মিশনের কো-অর্ডিনেটর মিসকিন আলি, মিশনের প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্ররা।

রহমানিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, যার অধীনে ১৬টি শাখা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমাজসেবার ক্ষেত্রে কাজ করে আসছে। এই ট্রাস্টের উদ্যোগে গঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা ও ইসলামী মূল্যবোধ একত্রিত করে একটি ব্যতিক্রমী মডেল তৈরি করেছে।ট্রাস্টের সম্পাদক হাজী কুতুব উদ্দিন জানান, “আমাদের লক্ষ্য শুধু জেলা বা রাজ্য নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখা। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের কার্যক্রম স্বীকৃতি পাচ্ছে, যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়”।

প্রতিনিধি দল রহমানিয়া আলামিন মিশনের পাশাপাশি আল-মদিনা জামে মসজিদ, দীনিয়াত মুয়াল্লিমা কলেজসহ ট্রাস্ট পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন করেন এবং ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এই অভিজ্ঞতা তাদের মধ্যে গভীর অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছে। সফর শেষে প্রতিনিধি দল জানায়, “আমরা এমন একটি প্রত্যন্ত গ্রামে এসে এত উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা দেখে মুগ্ধ। ভবিষ্যতে আমরা আবারও এই সংস্থার কর্মকাণ্ড পরিদর্শনে আসতে আগ্রহী।”এই সফর রহমানিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এবং সেহারাবাজার এলাকায় শিক্ষার প্রসারে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করল বলেই মনে করছেন স্থানীয় মানুষজন।

See also  মাধবডিহি থানার পুলিশের মানবিক মুখ

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি