আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

ফোনে বলা হ্যালো কথাটি কোথা থেকে এসেছে জানতে দেখুন

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

ফোনে কথা বলার সময় সর্বাধিক যে কথাটি আমরা ব্যবহার করে থাকি তা হলো হ্যালো। প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ ফোনে হ্যালো কথাটি উচ্চারণ করে থাকেন। এই শব্দটি বলেই কথোপকথন শুরু হয়। এই বহুল প্রচলিত কথাটির পেছনে রয়েছে এক ইতিহাস। সর্বপ্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন গ্রাহাম বেল। অনেকেই বলে থাকেন গ্রাহাম বেল-এর প্রেমিকার নাম ছিল হ্যালো। প্রেমিকার প্রতি নিজের ভালবাসা প্রকাশের নিদর্শন হিসেবেই তিনি টেলিফোন কলের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রেমিকার নাম ব্যবহার করেছিলেন। জানা গেছে, তাঁর সেই প্রেমিকার সাথেই নাকি বেলের বিয়েও হয়।

 

 

তবে এই ধারণাটিকে অনেকেই ভ্রান্ত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। টেলিফোন আবিষ্কার হয়েছিল ১৮৭৬ সালে। আর এর ঠিক এক বছর পর ১৮৭৬ সালের ১০ মার্চ আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল সর্বপ্রথম তার সহকারীকে ফোন করেছিলেন। সেই সময় হ্যালো উচ্চারণ না করে তিনি “আহয়ই” বলে সম্বোধন করেছিলেন নিজের সহকারীকে। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল যাকে বিয়ে করেছিলেন তার নাম ম্যাবেল গার্ডিনার হুবার্ড। গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করলেও হ্যালো বলার প্রচলন করেন অন্য এক ব্যক্তি। তিনি হলেন, বৈদ্যুতিক আলোর আবিষ্কারক থমাস আলভা এডিসন।

 

টেলিফোন আবিষ্কার হওয়ার প্রথম দিকে কল ডিসকানেক্ট এর কোন ব্যবস্থা ছিল না। একপাশের টেলিফোন লাইনের সঙ্গে অপর পাশের লাইন প্রায় সব সময়েই যুক্ত থাকতো। এরপর ১৮৭৭ সালের ১৮ জুলাই থমাস আলভা এডিসন “প্রিন্সিপাল অব রেকর্ডেড সাউন্ড” আবিষ্কারের পরীক্ষানিরীক্ষার কাজে তিনি যে শব্দটি বারবার উচ্চস্বরে ব্যবহার করেছিলেন তা হলো হ্যালো। নিজের উদ্ভাবিত শব্দটি তিনি রেকর্ড করেছিলেন পেপার সিলিন্ডার ফনোগ্রাফ যন্ত্রে। সর্বপ্রথম হ্যালো শব্দটির ব্যবহার লিপিবদ্ধ হয় ১৮২৭ সালে। সারা বিশ্বে ফোনে সম্ভাষণের ক্ষেত্রে প্রচলিত এই শব্দ আজও অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।

See also  বাঁশ গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার কোতুলপুরে

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি