তাপস মণ্ডল ( হুগলি ) :- ভূয়ো আইএএস, ভূয়ো সিবিআই ও ভূয়ো সিআইডি অফিসারের পর এবার চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারনা করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন মানবাধিকার সংগঠনের কর্ণধার।
সোমবার চুঁচুড়ার ঋষিকেশ পল্লী এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম রঞ্জন সরকার। হুগলীর চুঁচুড়া থানার হৃষিকেশ পল্লীতে বিগত কয়েকবছর ধরে একটি বাড়ির দোতলা ভাড়া নিয়ে চলছিল রঞ্জনের অফিস।
অফিসের নেমপ্লেটে লেখা রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান কাউন্সিল। সেই অফিসেই আনাগোনা ছিলো রঞ্জনের। মাঝেমাঝেই দেহরক্ষী পরিবর্তন করতো রঞ্জন। পাশাপাশি একাধিক চারচাকা ও দামী বাইক দেখা যেত সেই অফিসে। চারচাকা গাড়িতে ছিলো নীলবাতি। সম্প্রতি ভূয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের কৃর্তি প্রকাশ্যে আসতেই ভূয়ো হিউম্যান রাইটস নামক সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত চারচাকা গাড়ি থেকে নীলবাতি খুলেছিলো রঞ্জন। অতি-সম্প্রতি সব চারচাকা ও বাইকে প্রেস স্টিকার লাগিয়েছিল রঞ্জন।
রবিবার রাতে চুঁচুড়া থানার হুগলি মোড়ে রঞ্জনের অফিসে থাকা এক ব্যাক্তিকে প্রেস লেখা একটি স্কুটি সহ আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই সোমবার দূপুর আড়াইটা নাগাদ ঋষিকেশ পল্লীর ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। একই সাথে হানা দেয় চুঁচুড়া পিপুলপাতির কাছে মল্লিকবাটি স্কুলের সামনে রঞ্জনের বাড়িতেও। রঞ্জনের বাড়ি ও অফিস থেকে মোট চারটি দামী চারচাকা গাড়ি ও চারটি বাইক আপাতত পুলিশ আটক করেছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি-১ মৌমিতা সাহার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী রঞ্জনের অফিসে তল্লাসি চালিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার কর্নধার সরকারী চাকুরী দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যাক্তির কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছিলেন। এদিন প্রায় পঞ্চাশজন ব্যাক্তি তাদের টাকা নিতে ওই অফিসের সামনে হাজির হন।
যদিও এই গোটা বিষয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে নাকা চেকিং চলার সময় ভূয়ো প্রেস স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি ধরা পড়ে। তাকে জিগ্যাসাবাদ করতেই পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর সোমবার দুপুরে তল্যাশি করে রেলওয়ে রিকুডমেন্টের প্রচুর ভূয়ো নথি উদ্ধার হয়। পাশাপাশি আরও অনেক ভূয়ো নথি উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ রঞ্জন নামে ওই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে।