আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

নির্বাচনী খরচের হিসেব নিয়ে বিজেপির নেতা কর্মীদের মধ্যে ধুমধুমার

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

নির্বাচনী বিপর্যয় ও তার পরবর্তী করণীয় কি এই নিয়েই বুধবার বিজেপির জেলা অফিসে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল মন্ডল সভাপতিদের নিয়ে। সেই বৈঠকে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের কাছে কার্যত গলা ধাক্কা খেতে হল পূর্ব বর্ধমান জেলার ৯টি বিধানসভার প্রার্থী থেকে জেলা নেতৃত্বকে। সূত্রের খবর এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের ৭০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারে সেই টাকার হিসেব নিয়েই এদিনের অশান্তির সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে।

এদিনের বৈঠকের পরে খন্ডঘোষের বিজেপি প্রার্থী বিজন মন্ডল বেরিয়ে এলে প্রকাশ্যেই দেখা গিয়েছে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা জামা ধরে টানতে টানতে তাঁকে ভিতরে নিয়ে গিয়েছেন। বিজেপি কর্মী সুশান্ত সাহা বলেন, ’৭০ লাখ টাকা করে এক একজন পেয়েছে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের লোকেরাও এখনও টাকা পায়নি। আমরা ঘর ছাড়া। পরিবারের লোকেরা সংসার চালাতে পারছে না। আর নেতারা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়োচ্ছে। আমরা কি এজন্য পার্টি করেছিলাম।’

ডিভিসি মোড়ে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে এদিন অশান্তির জেরে বর্ধমান থানায় ফোন করে পুলিশও ডাকা হয়েছিল। তবে পুলিশ পার্টি অফিসের ভিতরে ঢোকেনি। বর্ধমান দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী ও প্রাক্তন জেলাসভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, ‘নির্বাচনের ফল ঘোষনার পরে পার্টি কর্মীদের পাশে সবাই আমরা দাঁড়াতে পারিনি। নানা প্রতিকুলতার জন্য। এর ফলে একটা ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল। তবে কোন মারামারি হয়নি। হিসেব নিয়ে পার্টির অভ্যন্তরে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের কাছে আমার কেন্দ্রের হিসেব পাঠানো হয়েছে।’

জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বর্তমানে অসুস্থ থাকায় অস্থায়ী দায়িত্বে রয়েছেন সহ-সভাপতি প্রবাল রায়। তিনি বলেন, ‘আমরা হিসেব রাজ্যের কাছে পাঠিয়েছি। তাঁরা বিষয়টি দেখবেন। কিছু পার্টি কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ ছিল। বিপদের সময়ে তাঁদের পাশে সবাই থাকতে পারেনি। এটা স্বাভাবিক ক্ষোভ। তবে বাইরে থেকে যারা গালমন্দ করেছে বলে জানতে পারছি, তারা পার্টির কেউ নয়।’ খন্ডঘোষের প্রার্থী বিজন মন্ডল বলেন, ‘আমাদের বিধানসভায় একটা কমিটি তৈরী হয়েছিল নির্বাচনের সময়। সেই কমিটি টাকা খরচ করেছে। এখন বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাই একজায়গায় না হওয়ায় একটা সমস্য হয়েছিল।

See also  মঙ্গলকোটে গৃহস্থের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি- আটক এক যুবক

আমাকে কাছে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন তারা। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে নিয়েছি।’ তবে এদিনে পার্টি অফিসের ভিতরে বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব কে মারধরও করা হয়েছে বলে বিজেপির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘এখনও বিজেপির নেতারা বলেনি যে তৃণমূলের লোকেরা গিয়ে অশান্তি করেছে এটাই অনেক। এই পার্টি অফিসই ভোটের আগে গোষ্ঠী কোন্দলে ভাঙচুর হয়েছে । আগুন জ্বলেছে । আর বিজেপির নেতারা সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছিল তৃণমূল করেছে। পরে সব সত্যি প্রকাশ পাবার পরে নিজেদের থুতু নিজেরাই চেটে দলের লোকেদের সাসপেন্ড করেছিল। এতবড় নির্লজ্জ দল এর আগে দেখিনি’

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি