কল্যাণ দত্ত :- ২৬ শে সেপ্টেম্বর দ্বিশত বর্ষ পূরণ করে ২০১-এ পা। আজ বিদ্যাসাগরের জন্ম দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মূর্তিতে মালা পড়ানো হবে, ছোট করে হলেও অনুষ্ঠান করবে বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজ। উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি, শিক্ষাবিদ,সমাজ সংস্কারক ও সংস্কৃত পণ্ডিত, লেখক এবং জনহিতৈষী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম বার্ষিকী আজ। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহ রাজময় তর্কভূষণ ছিলেন, সুপণ্ডিত ও বলিষ্ঠ দৃঢ়চেতা পুরুষ। ইনিই ঈশ্বরচন্দ্র-র নামকরণ করেন।
ঈশ্বরচন্দ্রের পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচ বছর বয়সে ঈশ্বরচন্দ্রকে গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি করানো হয়। ১৮২৮ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ তাকে কলকাতার একটি পাঠশালায় এবং ১৮২৯ সালের জুন মাস নাগাদ সংস্কৃত কলেজে ভর্তি করানো হয়। পরে তিনি ওই কলেজেই ব্যাকরন, সাহিত্য, অলংকার, ন্যায়, বেদান্ত, হিন্দু-আইন এবং ইংরেজি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা ভাষার প্রধান পন্ডিত এর পদ লাভ করেন। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় উপলব্ধি করেছিলেন পুরনো মূল্যবোধ এবং পরিবারের ভেতর থেকে যদি পরিবর্তন না আনা হয়, তাহলে সমাজ এবং দেশের কখনো প্রকৃত উন্নতি হবে না।


এজন্য তিনি বিধবা-বিবাহ চালু করেন। বহু বিবাহ ও বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ এবং স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারের জন্য আন্দোলনের পথ বেছে নেন। বিদ্যাসাগরকে অনেকেই দয়ার সাগর বলেন। তিনি শুধুমাত্র একজন অকল্পনীয় পন্ডিত ছিলেন তাই নয়, ছিলেন একজন অত্যন্ত বড়মাপের বিশাল হৃদয়ের দয়ালু মানুষ। বিদ্যাসাগর ছিলেন, একজন নতুন ধারণার পথিকৃৎ। অন্ধকার ভারতবর্ষে উনি ছিলেন, একজন পথপ্রদর্শক মশাল। বিদ্যাসাগর এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসের সাক্ষাৎকার একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনা।