প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- বর্ষা শুরু হতেই ভয়াল রুপ নিয়েছে দামোদর ।
তবুও করোনা সংক্রমন ছড়ানোর দোহাই দিয়ে ‘লাইফ জ্যেকট’ ছাড়াই পূর্ব বর্ধমানে যাত্রী বোঝাই নৌকায় চড়ে চলছে ভরা দামোদর পরাপার। কোথাও নজরদারির বালাই নেই । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দামোদর পারাপার করাটাই এখন জেলার জামালপুর ব্লকের অমরপুর ,শম্ভুপুরের ফেরিঘাট সহ অন্য ফরিঘাট গুলিতে রেওয়াজ হয়ে দাড়িয়েছে।কোন দুর্ঘটনা ঘটেগেলে সলিল সমাধি ঘটবে এই ভয়ে অনেকেই এখন আর নৌকা চাপার শাহস দেখাচ্ছেন না ।
জামালপুর ব্লকের জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চলের অমরপুর ও বেরুগ্রাম অঞ্চলের জামুদহ এবং শম্ভুপুরে রয়েছে দামোদর পারাপারের জন্য ফেরিঘাট ।
এই দুটি ফেরিঘাট থেকে নৌকায় চেপে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ দামোদর পরা হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যান । আমরপুর ফেরিঘাট থেকে শুধু যে সাধারণ মানুষজন যাতায়াত করেন এমনটা নয় ।প্রায় ৪-৫ শো ছাত্র ছাত্রীকে নৌকায় চড়ে দামোদর পার হয়ে প্রতিদিধন অমরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পৌছাতে হয় ।

এছাড়াও হুগলীর চাঁপাডাঙ্গা যাওয়ার জন্যও বহু মানুষ অমরপুর ফেরিঘাট পারাপার
করেন ।শম্ভুপুর ফেরিঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপার তুলনামূলক ভাবে আরও বেশী ।শম্ভুপুর ফেরিঘাট থেকে দামোদর পারহতে পারলেই বর্ধমান পৌছে যাওয়া অনেক সহজে ।তেমনই এই ফেরিঘাট পেরিয়ে শহর বর্ধমান থেকে রায়না ও জামালপুর যাওয়া আসা করা যায় । সাইকেল নিয়ে নৌকায় চড়ে একজনের যাওয়া আসায় ৫ টাকা ও বইকে একজনের যাওয়া আসায় ৮ টাকা বুঝে নিয়েই শুধু দায় সারেন ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ ।
অভিযোগ প্রশাসন বাধ্যতামূলক করলেও এই দুটি ফেরিঘাটের একটিতেও ‘লাইফ জ্যাকেট পরে দামোদর পারাপারের কোন ব্যবস্থা নেই। করোনা সংক্রমণ ছাড়ানোর দোহাই দিয়ে শুধু ‘লাইফ জ্যাকেট’ না পরাই নয় , নৌকায় সামাজিক দুরত্ব বিধিও মানা হচ্ছে না । মুখে মাস্কও থাকছে না বহু নৌকা যাত্রীর বলে অভিযোগ । মোটর বাইক,সাইকেলে মালপত্র সবকিছু নৌকায় চাপিয়ে নিয়ে গাদাগাদি করেই যাত্রীরা দামোদর পার হচ্ছেন। কয়েকদিন আগে সাইকেল ও মালপত্র সহ অমরপুর ফেরিঘাটে নৌকা থেকে জলে পড়ে যান দুই স্থানীয় বাসিন্দা বাপ্পা বিশ্বাস ও শিতারাম পাকড়ে নামে দুই ব্যক্তি । তারা এদিন বলেন ,এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নৌকায় চড়ে ভরা দামোদর পার হতে হচ্ছে । নৌকা থেকে জলে পড়ে যাবার পর বরাত জোরে প্রাণে বঁচে গিয়েছেন বলেও এই দুই ব্যক্তি জানিয়েছে ।
