আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

হারিয়ে যেতে বসা ঘুনি শিল্প আজও ধরে রেখেছে খণ্ডঘোষের কুলচৌরা গ্রাম।

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now
ইমতিয়াজ আলি ( খণ্ডঘোষ ) :-
ফাঁদ
 পেতে মাছ ধরা বহু উপায়ের মধ্যে ঘুনি অন্যতম।বাঁশের ছোট ছোট কাঠি ও নাইলনের দড়ির উপকরণ সহযোগে মূলত তৈরি হয় ঘুনি।ডোবা নালা খাল বিলে এ ছোট বড় মাছ খুব সহজে ধরা যায় এই ফাঁদে।কালের স্রোতে ঘুনি শিল্প একপ্রকার হারিয়ে যেতে বসেছে।তবে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে পূর্ণমাত্রায় ধরে রেখেছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের কুলচৌরা গ্রাম।
বর্ধমান সদর শহর থেকে মাত্র দশ কিমি দূরে অবস্থিত গ্রামটি।গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বেশ কয়েকটি পরিবার বর্ষার আগে থেকেই ঘুনি বুনতে শুরু করেন। বর্ষায় পুকুর খাল বিল মাঠ ঘাট জলে ভোরে গেলে ছোট ছোট কুচল মাছের দেখা মেলে ।
আর তা ধরতে মূলত গ্রাম বাংলার মানুষ ঘুনি দিয়ে সহজে মাছ ধরতে শুরু করেন।যার জন্যই ঘুনির চাহিদা থাকে তুঙ্গে।কুলচৌরা গ্রামে গিয়ে দেখা গেল বেশ কয়েকটি পরিবার দিনরাত এককরে ঘুনি বুনে চলেছেন।
আরো পড়ুন – আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭২ টি তাজা বোমা সহ খানাকুলে গ্রেপ্তার ছয়।

আশেপাশের গ্রামের খরিদ্দাররা বাড়িতে এসেই ঘুনি।কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ।এছাড়া সপ্তাহে একদিন নিকটবর্তী বাজারের মাধ্যমেও চলে বিক্রিবাটা।বাড়ির মহিলারাও এই কাজে সমান দক্ষ।তারাও বাড়ির লোকের সাথে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।ছোট বড় নানান সাইজের ঘুনি তৈরি করতে দেখা গেল।
ন্যুনতম একশো টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে তা বাজারজাত হচ্ছে।কথা বলে জানা গেল বেশ কয়েক পীড়ি ধরেই তারা এই কাজ করে আসছেন।তবে কাঁচা মাল যেমন বাঁশ নাইলনের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুব একটা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না।তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে এই শিল্প বেশ কিছুটা মুখে হাসি ফুটিয়েছে।কাজ হারিয়ে অনেকেই এই কাজ করে আয় করছেন।
বাড়ির সকলেই পুরুষ মহিলা সমান দক্ষ এ কাজে।তবে আবহাওয়ার সাথে ঘুনি বোনর বেশ সম্পর্ক রয়েছে।বৃস্টিপাত বেশি হলে মাঠ ঘাট প্লাবিত হয়।ফলে জমিতে মাছ উঠে আসে চাহিদা দেখা যায় বেশি.সবমিলিয়ে গ্রামীন রোজগারে ভালোই পথ দেখছ।
See also  করোনা ভ্যাকসিনের ইঞ্জেকশন না পাওয়ার ফলে পথ অবরোধ

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি