প্রসেনজিৎ রায় ( পূর্ব মেদিনীপুর ) :- সাগর বেষ্টিত গঙ্গাসাগর দ্বীপ। যেখানে পূরানখ্যাত গঙ্গাতীর্থ কপিলমুনি আশ্রম। পৌষ সংক্রান্তির মেলা বাদেও সারা বছর ধরেই দিক-বিদিক থেকে গঙ্গা-সাগর সঙ্গমে তীর্থ করতে ও ভ্রমণে আসেন অগনিত মানুষ।
গত প্রায় ছয় মাস করোনা ও লকডাউন আবহে , জলপথ পার হয়ে কোন মানুষজনই ওখানে প্রায় যাননি বলা চলে। এর মধ্যে ঘটে গেছে ভয়ংকর ঘুর্ণিঝড় আমফানের তান্ডব। সমুদ্রে সৃষ্ট আমফান প্রথম স্থলভাগ এই সাগরদ্বীপেই আছড়ে পড়ে সব তছনছ করে দেয়। যে আঘাত ও বিপর্যয় দ্বীপবাসীরা আজো কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
এই ভাবনা ও অনুভূতি থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা “সংকেত” র পক্ষ হতে
কপিলমুনি আশ্রমে সাথে যুক্ত পূজারী ও মন্দির সংলগ্ন দোকানদার মিলিয়ে প্রায় দেড়শটি পরিবারের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় ও খাদ্যসামগ্রি তুলে দিল। তেল, ডাল, হলুদ, লঙ্কা, সোয়াবিন, সুজি, চিনি, আলু,পিঁয়াজ, সাবান, সার্ফ করে চোদ্দদফা সামগ্রী এদিন প্রদান করা হয়। সমবেত পুরোহিতবৃন্দ সমবেত কন্ঠে পবিত্র গঙ্গামন্ত্র উচ্চারণ করে বন্টন অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
বন্টনকারীদের পক্ষে ডাঃ শ্যামল আদক বলেন,-
” করোনা ও আমফান নিয়ে নানা জনহিতকর কাজে আমরা বিরামহীন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। সাগর ও সুন্দরবনে এবার নিয়ে ছয়ট পর্বে ত্রান বন্টন হল। আমরা আবারও এইরূপ উদ্যোগ নেব।”
পুরোহিতদের পক্ষে দেবশংকর পন্ডা বলেন ,-
” মেইন ল্যান্ডের মধ্যে অন্তত কিছু মানুষ সব জায়গায় কমবেশি যাওয়া আসা করছেন। কিন্তু এই দ্বীপে গত ছয়মাসে কেউই আসতে পারেননি বলা যায়। আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। আজকে এনাদের মত বিভিন্ন সংগঠন ও সহৃদয় ব্যাক্তি এইভাবে এগিয়ে এলে দ্বিপবাসীরা বেঁচে থাকার প্রেরণা পাবেন।