কৃষ্ণ সাহা ( বর্ধমান ) :- আজ, মঙ্গলবার ওই ঘটনার পঞ্চাশ বছর পূর্তি ঘিরে জেলা জুড়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। সকালে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করে কর্মসূচি শুরু করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। বিকালে কর্মসূচি শেষ করার কথা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের।
১৯৭০ সালের ১৭ মার্চ বর্ধমান শহরের প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনে খুন হন দুই ভাই, মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই। তাঁদের সঙ্গে নিহত হন সেই সময়ের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ছাত্র জিতেন রায়। ওই বাড়িতে পড়াতে যেতেন তিনি। ওই মামলায় নাম জড়ায় প্রয়াত নিরুপম সেন, বিনয় কোঙার-সহ সিপিএমের বহু নেতা-কর্মীর। কংগ্রেসের সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই তারাপদ মুখোপাধ্যায় কমিশন গড়ে তদন্ত শুরু করেন। পাঁচ বছর পরে, ১৯৭৭ সালে সিপিএম ক্ষমতায় এসে ওই কমিশন বন্ধ করে দেয়। সাঁই পরিবারের অভিযোগ, মুখোপাধ্যায় কমিশন তদন্ত-রিপোর্ট দিলেও বিচার মেলেনি। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অরুণাভ বসুকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিশন গঠন করেন। সেই কমিশনের রিপোর্টও এখনও প্রকাশ পায়নি। জিতেন রায়ের ভাইপো চিরকুমারবাবু বলেন, “দোষীরা একদিন শাস্তি পাবে, এই আশা এখনও করি।’’ ওই শিক্ষকের স্মরণে মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুরেও প্রতি বছর সভাও হয়।
সাঁই পরিবারের অভিযোগ, পুরো বাড়ি ঘিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রান্নাঘরে ঢুকে প্রণব আর জিতেনকে বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে-পিটিয়ে খুন করা হয়। পাশের বাড়িতে খাটের তলায় লুকিয়ে থাকা মলয়কেও টেনে বার করে খুন করা হয়।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের কথায়, “কংগ্রেস কী ভাবে সাঁইবাড়ির খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সেটাই মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে।
বর্ধমানের রাজনীতিতে এখনও ‘জীবন্ত’ রয়েছে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড
Published :