প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ):-
পুলিশ পরিচয় দিয়েই চলছিল বেকার ছেলেদের পুলিশে চাকরি করে দেবার নামে আর্থিক প্রতারণা।এক প্রতারিত যুবকের দায়ের করা অভিযোগে ওই প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করলো পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার পুলিশ। অভিযান চালিয়ে প্রতারণা চক্রের দুই পাণ্ডা সহ চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ।এই ঘটনা সামনে আসার পরেই নড়ে চড়ে বসেছেন জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা । পুলিশের কাছে প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে প্রতারিতরা ।
পুলিশ জানাগিয়েছে ,ধৃতরা হল রাজেন হাজরা,নাজেম মল্লিক , সত্যজিৎ বিট্টার ও শেখ জানারুল ওরফে পিন্টু ।রাজেন ও সত্যজিৎতের বাড়ি বর্ধমান থানার কান্টিয়া এলাকায় । জামালপুর থানার জানকুলি গ্রামে বাড়ি নাজেমের । জানারুলের বাড়ি বর্ধমান শহরের বাথানপুরে । পুলিশ জানিয়েছে , প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা রাজেন হাজরা । তার প্রধান দুই সাগরেদ হল নাজেম ও সত্যজিৎ । অপর ধৃত জানারুল পেশায় গাড়ি চালক ।সোমবার রাজেন যে দামি গাড়িটিতে চড়ে প্রতারণা কাজে বেরিয়েছিল সেই গাড়ির চালক জানারুল ।
পুলিশ দাবি করেছে প্রতারকদের কাছথেকে উদ্ধার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ভূয়ো পরিচয় পত্র ,নিয়োগপত্র ,আবেদনপত্র ,একাধিক ব্যাঙ্কের চেকবই ‘ডেবিট কার্ড ও স্ট্যাম্প। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে প্রতারিতর মাধ্যমিকের অরিজিনাল অ্যাডমিট ,মার্কশিট ও সার্টি ফিকেট ।যে চারচাকা গাড়িটিতে চড়ে রাজেন প্রতারণার কাজে বের হত সেই দামি গাড়িটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে ।
তদন্তে নেমে পুলিশ কর্তারা জানতে পেরেছেন,
প্রতারকরা শুধুমাত্র মাত্র যে রায়না থানার ভগবতীপুরের বাপ্পাদিত্য পোড়েলের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে এমনটা নয় । কনস্টেবল ও হোমগার্ড পদে চাকরি করেদেবার প্রতিশ্রুতি ধৃত প্রতারকরা রায়না সহ জেলার বিভিন্ন জায়গার বেকার যুবকদের কাছথেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ।তারমধ্যে রায়না থানা এলাকার ৬-৭ জনের কাছ থেকে প্রতারকরা প্রায় ২৪ -২৫ লক্ষ টাকা আদায় করেছে ।
সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজুকরে রায়না থানার পুলিশ মঙ্গলবার চার ধৃতকেই পেশ করে বর্ধমান আদালতে । বেকারদের কাছথেকে হাতিয়ে নেওয়া নথি ও টাকা উদ্ধার সহ প্রতারণা চক্রের বাকি সদস্যদের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিসার রাজেন হাজরাকে ১০ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান । ভারপ্রপ্ত সিজেএম রাজরষী মুখোপাধ্যায় রাজেনের ৩ দিনের পুলিশ হেপাজত ও বাকিদের বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
