আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

নব্বই টাকার লটারিতে কোটি টাকার ভাগ্য! ভাঙা ঘরের চা-দোকানি হলেন কোটিপতি

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

পূর্ব বর্ধমান: ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে কী না হয়! ভাঙা ঘরে, অন্যের জায়গায় বসবাস করেও যে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া যায়, তারই প্রমাণ মিলল পূর্ব বর্ধমানের উচালনে। মাত্র নব্বই টাকার লটারির টিকিট কেটে এক কোটি টাকা জিতে নিলেন এক চা-দোকানি দম্পতি।

জানা গেছে, উচালনের এক ছোট্ট চায়ের দোকান থেকে শুক্রবার ওই লটারির টিকিটটি কেনা হয়। টিকিটটি বিক্রি করেন একজন রিটেলার, যিনি ডিলারের কাছ থেকে টিকিট এনে বিক্রি করছিলেন। লটারির ফল প্রকাশের পর টিকিটের নম্বর মিলিয়ে প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করেন যাঁর টেবিল থেকে টিকিটটি বিক্রি হয়েছিল। লটারির ভাগ্যজয়ী হলেন জলি মুন্সি। তিনি ও তাঁর স্বামী টুলু মুন্সি কয়েক বছর আগে ওড়িশা থেকে কাজের সন্ধানে পূর্ব বর্ধমানে আসেন। প্রথমে একটি রাইসমিলে কাজ করতেন তাঁরা। পরবর্তীতে সেই রাইসমিল বন্ধ হয়ে গেলে টুলু মুন্সি অন্য রাইসমিলে কাজ নেন এবং জলি মুন্সি উচালনে একটি ছোট চায়ের দোকান চালানো শুরু করেন।

দম্পতির দুই ছেলে রয়েছে—একজন দশম শ্রেণির ছাত্র, অন্যজন প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। সীমিত আয় আর ভাঙা ঘরের জীবনযাত্রার মধ্যেই চলছিল তাঁদের সংসার।
লটারিতে এক কোটি টাকা জেতার খবর জানাজানি হতেই খুশির জোয়ারে ভাসছে গোটা পরিবার। জলি মুন্সি জানান, “এভাবে ভাগ্য ফিরবে কখনও ভাবিনি। আমার স্বামী প্রায়ই লটারির টিকিট কাটেন। সেদিন কী মনে হয়েছিল, আমিও নব্বই টাকা দিয়ে একটি টিকিট কেটে নিয়েছিলাম। আর সেই টিকিটেই ফিরল ভাগ্য।”

দম্পতি আরও জানান, আপাতত টাকা নিয়ে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেননি। তবে নিজেদের একটি পাকা বাড়ি করার ইচ্ছে রয়েছে। সেই লক্ষ্যেই খোঁজখবর শুরু করেছেন তাঁরা।
নব্বই টাকার একটি টিকিটই বদলে দিল ভাঙাঘরের জীবন—উচালনের চা-দোকানি পরিবার আজ কোটিপতি।

See also  পার্থক্য স্পষ্ট—একদিকে গান্ধীর নাম মুছছে কেন্দ্র, অন্যদিকে বাংলায় ‘মহাত্মা গান্ধী প্রকল্প’: মমতার মূল্যবোধের প্রশংসায় অপার্থিব ইসলাম

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি