একটি ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপকে কেন্দ্র করে আবারও খবরের শিরোনামে এসেছেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ওই অডিও ক্লিপে বোলপুর থানার আইসি-কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায়, এবং অনেকে মনে করছেন হুমকির কণ্ঠস্বরটি অনুব্রত মণ্ডলেরই। যদিও ‘কৃষকসেতু নিউজ বাংলা’ এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি, তবে এটি ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিরোধীরা অবিলম্বে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

সুকান্ত মজুমদারের তীব্র আক্রমণ:
BJP রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “এই ভাইরাল হওয়া ফোনালাপটি শুনলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, রাজ্যের দুর্দমনীয় এবং দোর্দণ্ডপ্রতাপ মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহের চাদরের তলায় কীভাবে ভয়াবহ সমাজবিরোধী ‘ত্রাস’রা সযত্নে সুরক্ষিত রয়েছে! ‘বীরভূমের ছাল ছাড়ানো বাঘ’, যার কিনা মাঝে মাঝেই ব্রেইনে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয় – তিনি একজন পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে ঠিক কি ভাষায় কথা বলছেন!”
মজুমদার আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “আর এই কথপোকথন প্রকাশ্যে আসার পর প্রশাসনে কী প্রভাব পড়বে? বড় জোর ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই হয় ওই আধিকারিককে ক্লোজ করা হবে, নাহলে সুন্দরবনে বদলি!” তিনি পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের DGP রাজীব কুমারকে দ্রুত এই বিষয়ে তদন্ত করে রাজ্যবাসীর কাছে জবাবদিহি করার দাবি জানিয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন, “তৃণমূলের নেতাদের কাছে পুলিশ নিজে সুরক্ষিত না হলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা!”
বীরভূম জেলা BJP সভাপতির মন্তব্য:
বীরভূম জেলা BJP সভাপতি ধ্রুব সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন, “পুলিশেরই উচিত ঘটনার সত্যতা বিচার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা রাজনৈতিক কর্মী। আজ যদি আমাদের কোনো নেতা এমন কাজ করতেন, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের আগেই দল ব্যবস্থা নিত। আমরা রাজনীতি করি সমাজে বদল আনতে। কিন্তু এই ধরনের বক্তব্য থেকে সমাজ কী শিখবে? পুলিশকে বলব মেরুদণ্ড সোজা রেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন। তা যদি না করতে পারেন তাহলে সমাজমাধ্যমে প্রচার করুন, এটা ভুয়ো।”
অনুবার্তা মণ্ডলের নিরবতা:
এদিকে, এই ঘোরতর অভিযোগ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।