প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান
শান্তি অধরা। বিশ্বজুড়ে শুধু হিংসা আর দ্বন্দ্ব।তারই
মধ্যে আজও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্বল বুদ্ধের বাণী
। হিন্দুস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যেকার উত্তেজনা উপশমে সেই বুদ্ধকেই স্মরণ করলেন বঙ্গের বালি শিল্পীরা। তাাঁরা সোমবার গৌতম বুদ্ধের জন্মদিনের দিনে পূর্ব বর্ধমানের গৈতানপুরের দামোদরের বালির চরে বলি দিয়ে গড়ে তুললেন বুদ্ধের মূর্তি। ।শিল্পীদের এই সৃষ্টি ও শান্তির বার্তা প্রচার , বর্ধমানবাসীর মন জয় করে নিয়েছে। বালিতে তৈরি এই অনন্য ভাষ্কর্য হয়তো দামোদরে জল বাড়লে ভেসে যাবে,মুছে যাবে। কিন্তু মুছে যাবে না বুদ্ধের শান্তির বাণী।তা শাশ্বত, তা চিরন্তন।
ভারতের সীমান্তপারের পাক সন্ত্রাসবাদ বারবার হানা দিচ্ছে ভারত ভূমিতে। সন্ত্রাসবাদ শান্ত ভারতবাসীর জীবনে নখ, দাঁত বসাতে চাইছে। তাদের হানাদারিকে প্রাণ যাচ্ছে ভারতের নিরীহ
নাগরিক ও সেনাদের ।তবু ভারত যুদ্ধ চায় না।
কারণ যুদ্ধ কখনই কারুর মঙ্গল করে না। ভারত শুধু চায় সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসীদের নিকেশ করতে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে
এই বার্তাই প্রতিফলিত হয়েছে।
মহামানব গৌতম বুদ্ধের জন্মদিনে আজও বিশ্ব শান্তির কথা স্মরণ করা হয়। গৌতম বুদ্ধ সেই মহমানব যিনি সিংহাসনে মায়া ছেড়ে,হিংসার ছোঁয়াচ বাঁচাতে রাজসিংহাসন ছেড়ে পথে নেমেছিলেন। তার শান্তির বাণী তাকে বিশ্বের কাছে রাজার রাজার শিরোপা দিয়েছে। তাঁর জন্মদিনে
তাই শিল্প সুষমায় নদীর বালি দিয়ে বুদ্ধের মূর্তি গড়ে হিংসা ও সন্ত্রাস মুক্ত পৃথিবী গড়ার আহ্বান রাখলেন বঙ্গের বালুকা শিল্পীরা। গৈতানপুরের বালির চরে তাঁদের গড়া পূর্ণাবয়ব বুদ্ধের মুখ বরাভয়।মূর্তিতে প্রকাশ পেয়েছে মানবিক চেতনার এক অনির্বচনীয় প্রশান্তি।
বালি দিয়ে এমন মূর্তি গড়ার পুরোধা প্রশান্ত দাশগুপ্ত কলেজের অধ্যাপক রঙ্গজীব রায়। তিনিই এই কাজের মধ্যমণি। সারা বছর এই নদীর তীরেই নানা শিল্প ভাস্কর্যের মাধ্যমে তিনি নানা সামাজিক বার্তা দিয়ে থাকেন। তবে এই কাজে তিনি একাই নন।কলকাতা সহ গোটা বাংলার বিভিন্ন জেলার ১৩ জন শিল্পী দুদিন ধরে এই বৃহৎ সৃষ্টির সুখে মগ্ন থাকেন।তাঁদের এই অভিনব শিল্পকর্ভ শিল্পী ও সমঝদার মহলে৷ বেশ আলোড়ন ফেলেছে। শিল্পী রঙ্গজীব রায় জানালেন,“গোটা পৃথিবীর মানচিত্র আজ হিংসায় দীর্ণ। তবু বুদ্ধের চেতনা আজও পৃথিবীতে মানবিক বোধের দিশারী। তার জন্মদিনে তাদের শ্রদ্ধা বালুকাশিল্পের মাধ্যমে“। ।
