বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সহ বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকা একঝাঁক তৃণমূল নেতার সাজার ঘোষণা নিয়ে আদালত চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাধিপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার, এবং অন্যান্য এমএলএ, মন্ত্রী ও কর্মী সমর্থকরা আদালত চত্বরে উপস্থিত হয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
- এই মামলাটি ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
- অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল আহত হন।
- এই ঘটনায় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য, এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের নাম জড়িয়েছিল।
- আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় কয়েকজন সাক্ষী তাদের বয়ান পরিবর্তন করেন।
- তবে, হাসপাতাল কর্মীদের সাক্ষ্য এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত ১৩ জন তৃণমূল নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
- এই ১৩ জনের মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করা হবে।
আদালত চত্বরে উত্তেজনা: - সাজা ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আদালত চত্বরে ভিড় জমেছে।
- তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা আদালত চত্বরে উপস্থিত হয়েছেন।
- পুলিশ আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
এই মামলার রায় পূর্ব বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।