আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

গলসিতে হেল্পলাইনে ফোন করলেই গোপনে বাড়িতি পৌছে যাবে খাদ্য সামগ্রী

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

 

পূর্ব বর্ধমান, গলসিঃ- কডাউনে দিনগুলিতে হেল্পলাইনে ফোন করলেই গোপনে বাড়িতে পৌছে যাবে খাদ্য সামগ্রী। এমনই একটি হেল্পলাইন নাম্বার চালু করে এলাকায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছে জাগুলিপাড়া গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তবে খাদ্যে সামগ্রী দানের ছবি তোলা নিষেধ। লকডাউনে ঘরবন্দি মধ্যবিত্য মানু‌ষের সম্মানের খাতিরেই এমন উদ্দ্যোগ গলসি ১ নং ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রহমত মোল্লার।

জানা গেছে, তিন কেজি চাল, পাঁচশো গ্রাম ডাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, আড়াইশো গ্রাম সরষে তেল, এক প্যাকেট মুড়ি, একটি সাবান ও এক প্যাকেট নুন, এই আট রকমের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তারা এলাকার বাড়ি বাড়ি গোপনে পৌঁছে দিচ্ছেন। চব্বিশ ঘন্টা হেল্পলাইনে ফোন রিসিভ করে লেখা হচ্ছে আবেদনকারীদের নাম। তারপর রাতের বেলায় শুরু হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী প্যাকেটিং এর কাজ। সকাল হলেই ত্রাণ শিবিরের সামনে লেগে যাচ্ছে দুটি গাড়ি।

গ্রামের জন্য ও একটি টোটো ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের জন্য একটি মাক্স গাড়ি। তারপর গ্রামের তৃণমূল কর্মীরা এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোপনে পৌছে দিচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। একের অধিক বারও ফোন করলে মিলছে ওই খাদ্য সামগ্রী। গ্রামের শতাধিক তৃণমূল কর্মী দু পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়ে তৈরি করছেন ওই রিলিফ ফান্ড।

তারা জানিয়েছে লকডাউনের শেষ দিন পর্যন্ত খোলা থাকবে তাদের ত্রাণ শিবির। লকডাউন বাড়লে বাড়বে তাদেরও ত্রাণ বিলির মেয়াদ। লকডাউনে প্রতিদিন এলাকার একশো টি পরিবারের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে তাদের খাদ্য সামগ্রী। গোপনে দুস্থদের ও মধ্যবিত্যদের পাশে দাঁড়ানোর এমন উদ্দ্যোগ দেখে খুশি গ্রামের মানুষরাও।

 

See also  রেলকর্মীর বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী চুরি,কেএসটিপিতে চাঞ্চল্য

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি