আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

আকন্ঠ মদ্যপান করে চুড়ান্ত মাতলামি সরকারি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারে – নিন্দার ঝড় ওঠে নেটিজেনা

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

 

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২০ সেপ্টেম্বর

রোগীর চিকিৎসা করা যাঁর কাজ সেই ডাক্তার বাবু ই কিনা আকন্ঠ মদপান করে লুটোপুটি খাচ্ছেন ।পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সৌরভ দাস কে এমন অবস্থায় দেখে বুধবার বিকালে কার্যতই হতবম্ব হয়ে যান এলাকার মানুষজন। তাদের অনেকে যেমন নিন্দায় সরব হলেন আবার কেউ ডাক্তারের মাতলামির ভিডিও মোবাইল ক্যামেরাই বন্দি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। রাতে সামাজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজেন মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘটনা জেনে ক্ষোভ চেপে রাখেন নি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।

 

 

কেতুগ্রাম ২ ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে প্রতিদিনই এলাকার বহু মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন।রোগীদেরও এই হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। ডাক্তার ‌ সৌরভ দাস এই হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা করে থাকেন। বুধবার বিকেলে সেই ডাক্তারবাবুকে মদ খেয়ে মাতলামি করতে দেখে সবার চোখ কপালে উঠে যায়।এদিন ডাক্তার সৌরভ দাস এতটাই মদ্যপান করেছিলেন যে তাঁর নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মত ক্ষমতা থাকে না । হাসপাতাল সংলগ্ন পাচুন্দি মোড়ের কাছে একটি ধাবায় প্যান্টে প্রস্রাব করে ‌রাস্তায় হামাগুড়ি দেওয়া থেকে শুরু করে ভ্যান গাড়ির উপর শুয়ে লুটোপুটি খাওয়া,অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা কিছুই তিনি আর বাকি রাখলেন না।সরকারী হাসপাতালের একজন মেডিকেল অফিসারকে এমন মাতলামি করা দেখে চোখ কপালে উঠে যায় কেতুগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাওয়া
মানুষজনের।

 

সরকারী হাসপাতালে ওই ডাক্তারের মাতলামি দেখতে ধাবা চত্ত্বরে এদিন বহু মানুষের ভিড জমে যায় । তদের অনেকে ডাক্তারের মাতলামির ছবি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে পরে তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয় ।সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে । সবাই প্রশ্ন তোলেন , সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার বাবু যদি এইভাবে মদ্যপ অবস্থায় লুটোপুটি খান তাহলে রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবে ?

See also  পরিবেশকে দূষণ মুক্ত করতে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি

 

 

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন,” যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সত্যিই এটা ভীষণ খারাপ বিষয়। ওই চিকিৎসককে শীঘ্রই ডেকে পাঠানো হবে। প্রয়োজনে তার কাউন্সিলিং করানো হবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।”

 

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি