আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

গঙ্গায় ভেসে এলে  দলিল,কোনদিনও কল্পনাও করতে পারেননি গ্রামের মানুষ

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রতিদিনের মতন দুপুরে গঙ্গা স্নান করতে নেমেছিলেন গ্রামের মানুষজন। কিন্তু স্নান করতে নেমে তাঁদের হাতে এমন কিছু জিনিস উঠে আসবে, তা কোনদিনও কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা। গঙ্গায় স্নান করতে নেবে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা দেখেন নদীর জলে ভেসে আসছে দড়ি বাঁধা গুচ্ছ গুচ্ছ কাগজ। সেই সব কাগজ গঙ্গা থেকে তুলে আনতেই চক্ষু ছানাবড়া সকলের।

 

 

কারণ সেই কাগজ কোনও সাধারণ কাগজ না। সেই সমস্ত কাগজ কোন সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়ের নথি। ঘটনাটি ঘটেছে বলাগরে চাদরা এলাকায়। ঠিক যেখানে রয়েছে শান্তনু বহুতল রিসোর্ট, তার পিছন থেকেই নদীর জলে ভাসতে ভাসতে আসতে দেখেন গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। একটা দুটো নয়, শতাধিক দলিল! বিভিন্ন দামের স্ট্যাম্প পেপারে লেখা দলিল। বেশ কিছু দলিলে লেখা রয়েছে মুর্শিদাবাদে ডোমকলের ঠিকানা। তবে স্থানীয় মানুষদের অনুমান কেউ বা কারা এই দলিলগুলো নথি লোপাট করার জন্য গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিয়েছে। তবে এই দলিল যে বেশি দূর থেকে ভেসে আসছে না তা খুবই স্পষ্ট ছিল সেখানকার স্থানীয় মানুষদের কাছে।স্থানীয় এক বাসিন্দা রাকেশ মণ্ডল জানান, দলিলগুলো দেখে মনে হচ্ছে কাছাকাছি কোথা থেকে ফেলা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন,

কারণ মুর্শিদাবাদ থেকে গঙ্গায় ভেসে এলে কাগজ ভিজে নষ্ট হয়ে যেত। দলিল উদ্ধারের পর স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন স্থানীয়রা। দলিল গুলো আসল না নকল, কোথা থেকে এলো তার খোঁজ চালানো হচ্ছে।দলিল উদ্ধারের পর স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন স্থানীয়রা। কোথা থেকে এলো এত দলিল ? এই সমস্ত দলিলের মালিকই বা কে! কেন এইগুলিকে নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল সেই সমস্ত বিষয়ে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।সন্দেহ তির আরো জোরালো হয় কারণ বলাগড়ের যে এলাকায় দলিলগুলি উদ্ধার হয়েছে সেই চাঁদরাতেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিলাসবহুল রিসর্ট রয়েছে।বর্তমানে ইডি হেফাজতে দিন কাটছে শান্তনুর। এবার সেই এলাকাতে বিশাল সংখ্যক দলিল উদ্ধার হওয়ায় স্বভাবতই তা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে গোটা এলাকায়।

See also  প্রতারনা চক্রের পর্দা ফাঁস করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি