বর্ধমান শহরের দূর্গাপুজোর মা এর কার্ণিভাল ও মহরমের পুরুষ্কার বিতরন অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন

‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঐতিহাসিক স্লোগানকে সামনে রেখে শহর বর্ধমানের মহরম কমিটি ও দূর্গা পুজো কমিটিগুলোকে উৎসাহিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শহরবাসীর কাছে, মহররমের একাত্মতা এবং দুর্গাপূজার বিসর্জনের একাত্ম্য তাকে স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজন করা হয় কার্নিভালের।
যাতে ৭ই অক্টোবর মা কার্নিভাল নামের অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের ৩০ টি পুজো কমিটি শহরের রাজপথে তাদের প্রদর্শনী প্রদর্শন করে বর্ধমান শহরসহ জেলাবাসী সাক্ষী থাকে নতুন এক অধ্যায়ের। বিধায়ক খোকন দাস ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঐদিন আলো ঝলমলে কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হলেও বিভিন্ন স্থান অধিকারী পূজা কমিটিগুলির নাম ঘোষণা করা হয়নি।
শুক্রবার সাংস্কৃতিক লোকমঞ্চে মহরম ও কার্নিভালে অংশগ্রহণকারী কমিটিগুলির মধ্যে যারা বিভিন্ন স্থান অধিকার করে তাদের নাম ঘোষণা করে পুরস্কার তুলে দেওয়া হলো। এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন ও তার সহযোগী তিন উদীয়মান শিল্পী চন্দ্রিকা অরিত্র ও অরিজিৎ এর বাংলা গান উপস্থিত দর্শকদের মন জয় করে নেয়।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে শহরে মহরমের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী কমিটিগুলোর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারিকে পুরস্কৃত করা হয়। শহরের মেহেদীবাগান মহরম কমিটি এবছর প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তাদের হাতে ২লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। দ্বিতীয় হয়েছে খাগড়াগড় মহরম কমিটি। তারা এক লক্ষ টাকার চেক পেয়েছে। তৃতীয় হয়েছে ভেরিখানা মহরম কমিটি। তাদের হাতে ৫০হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
এই অনুষ্ঠান শেষে ফের ইন্দ্রনীল সেনের গানের সঙ্গীতানুষ্ঠান চলার পর কার্নিভালে অংশগ্রহণকারী দুর্গাপুজো কমিটিগুলোর হাতে একে একে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বর্ধমানে প্রথমবার কলকাতার আদলে কার্নিভালের আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন। এবার কার্নিভালের শোভাযাত্রার নিরিখে প্রথম স্থান পেয়েছে যুগ্মভাবে সবুজ সংঘ ও কাঞ্চননগর দুর্গাপুজো সমন্বয় সমিতি। এরা প্রত্যেকেই পাঁচ লক্ষ টাকার পুরস্কার মূল্য জিতে নিয়েছে।
যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ন্যাচারাল সিটি দুর্গাপুজো কমিটি ও ২নং শাঁখারীপুকুর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। এরা প্রত্যেকেই পুরস্কার মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা করে পেয়েছে। যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলমগঞ্জ বারোয়ারী ও রথতলা দুর্গাপুজো সমন্বয় সমিতি। এদের হাতে দেড় লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ স্থানে যুগ্মভাবে জায়গা করে নিয়েছে লাল্টু স্মৃতি সংঘ ও বহিলাপাড়া অদ্বিতীয়া মহিলা কল্যাণ সমিতি। এদের দুটি কমিটির হাতেই পুরস্কার মূল্য হিসেবে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
কার্নিভালে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে শহরের চারটি পুজো কমিটি। এদের প্রত্যেকের হাতে ৫০হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। পুজো কমিটি গুলো হল বুড়ির বাগান সর্বজনীন, সদরঘাট কালিতলা বারোয়ারী দুর্গাপুজো কমিটি, খালুইবিল মাঠ গুডশেড রোড সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি ও ইছলা বাদ পদ্মশ্রী সংঘ। ষষ্ঠ স্থানেও চারটি পুজো কমিটি জায়গা করে নিয়েছে। তারা হল চৌরঙ্গী ক্লাব, মাতৃ সংঘ, আমরা সবাই মহিলা সমিতি ও কেশবগঞ্জ বারোয়ারী। প্রত্যেককে ২৫হাজার টাকা করে পুরস্কার মূল্য তুলে দেয় বিশিষ্ট অতিথিরা।
এছাড়াও ১৪টি পুজো কমিটি কে ২০হাজার টাকা করে প্রত্যেক কে পুরস্কৃত করা হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।