আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বেই তাণ্ডব হামলা চলছে বলে দাবি করা পুলিশ ও তৃণমূলের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪৬ জন সিপিএম কর্মী

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় 

 

 

আইন অমান্য কর্মসূচির নামে সরকারী সম্পত্তি ভাংচুর ও পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন ৪৬ জন বাম নেতা কর্মী।বুধবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছিল শহর বর্ধমানে।

 

 

ধৃতদের মধ্যে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী ও এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরীও রয়েছেন।ধৃত সবাইকে বৃস্পতিবার পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে।

 

বিচারক ধৃতদের মধ্যে পাঁচ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন।বাকি ধৃতদের মধ্যে ৭ জনেকে পুলিশ হেপাজত ও ৩৪ জনকে জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

 

বৃদ্ধর ফল বিক্রেতার দোকান থেকে কলা লুট করছে বাম কর্মীরা -ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় বইছে

 

বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে বুধবার বিকালে ধুন্ধুমার বাধে শহর বর্ধমানে।শহরের কার্জনগেট এলাকায় পুলিশ বামেদের মিছিল আটকালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাম কর্মীরা ।অভিযোগ, বামকর্মীরা পুলিশকে লক্ষকরে ইট পাটকেল ছোড়া শুরু করে পাল্টা পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু কর ।তা নিয়ে রণক্ষেত্রে চেহারা

 

নিয়ে নেয় বর্ধমানের কার্জনগেট চত্ত্বর। পুলিশ কর্মীদের রাস্তায় ফেলে পেটানো, বিশ্ববাংলা লোগো,একাধীক পুলিশ গাড়ি,বিধায়ক কার্যালয় সহ শহরের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালানোর

 

 

 

অভিযোগ ওঠে উন্মত্ত বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে ।সেই তাণ্ডবে ২২ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে জেলা পুলিশের তরফে দাবি করা হয় । ঘটনার সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করতে হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেই পুলিশ ধরপাকড় অভিযানে নেমে সিপিএমের নেতা ও কর্মী মিলিয়ে শতাধীক জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় ।

 

 

পরে এই ঘটনা নিয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করে । একই দিনের তৃণমূলের তরফেও বর্ধমান পুরসভার নুরুল আলম ১১৯ জনের নাম দিয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দু‘ পক্ষই তাঁদের অভিযোগে

See also  মধ্যমগ্রাম শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ মহাভাব আশ্রমে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন বা ভাসান

 

 

দাবি করেছে,“আইন অমান্য কর্মসূচির নামে বুধবার বিকালে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বেই তাণ্ডব ও হামলার ঘটনা ঘটেছে“ । পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন

 

 

এদিন বলেন ,বুধবারের ঘটনার ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ আদালতে পেশ করেছে।

 

 

 

এদিন আদালত চত্ত্বরে ধৃত সিপিএম নেতা আভাস রায়চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ’আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর পুলিশ হামলা করে।মেয়েদেরকে ছেলে পুলিশ মারধর করে । আমরা কেউ গরু চোর বা কয়লা চোর নই।আমরা মানুষের জন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়েছিলাম ।পুলিশ এখন

 

 

শাসক দলের দাস হয়ে কাজ করছে’। অপর ধৃত সিপিএম নেত্রী পৃথা তা বলেন, ’থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিল আমাদের মারধর করেছে,। এমনকি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে’।

 

 

 

যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু পরিস্কার জানিয়েদেন,’ সব মিথ্যা অভিযোগ। আইন অমান্য কর্মসূচির নামে বুধবার বিকালে কারা বর্ধমান শহর জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ,পুলিশ পিটিয়েছে সেটা বর্ধমান সহ গোটা রাজ্যবাসী টেলিভিশনে দেখেছে ।কড়া ভাষায় সিপিএমের নিন্দা করে দেবু টুডু বলেন ’,গত ১১ বছরে বর্ধমানে কোন অশান্তি ছিল না।

 

 

ওরা অশান্তি করে, দোকান থেকে কলা চুরি করে ,দোকান ভাঙচুর করে চলে গেছে। এইসবে জন্য পুলিশ প্রশাসন তো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেই“।অরপদিকে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, দলনেত্রী ও দলের যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সান্থ

 

 

থাকতে বলেছেন। তাই আমরা সবাই সান্ত আছি। আমাদের কর্মীরা শান্ত আছে।নাহলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সিপিএমকে সব হিসেব বুঝিয়ে দিতাম।বর্ধমান সহ গোটা বাংলার উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না বলে সিপিএম এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি শুরু করেছে ।

 

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি