উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উদযাপন করা হলো নিমপীঠে। সুস্থ মাটি সুস্থ নগরীর ভিত্তি—এই মূল বার্তাকে সামনে রেখে শুক্রবার নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালন করা হলো।আধুনিক নগরায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত ভারসাম্যের সঙ্গে মাটির স্বাস্থ্যের নিবিড় সম্পর্ককে তুলে ধরাই ছিল এদিনের এই কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ব্লকের প্রায় ৫০ জন কৃষক বন্ধু ও মায়েরা।সাথে ছিলেন প্রায় ২৫ জন অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীরা।

এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে এই কর্মসূচির উদ্দ্যেশ ও গুরুত্ব নিয়ে স্বাগত ভাষণ দেন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ও প্রধান ড: চন্দন কুমার মন্ডল। এদিনের এই অনুষ্ঠানে অনলাইন মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের কলকাতা শাখার ডিরেক্টর ড: প্রদীপ দে। তিনি তাঁর বক্তব্যে মাটির পুষ্টি সংরক্ষণ, জৈব পদার্থ পুনঃচক্রায়ন, অবক্ষয় রোধ প্রভৃতি কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার ও তার মাধ্যমে সুস্থায়ী কৃষির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি শহর ও গ্রাম,উভয় অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থাকে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে বিবেচনা করার ওপর জোর দিয়ে বলেন যে সুষম ও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষাই ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা ও সুস্থ নগরায়নের পথ নির্ধারণ করবে,মাটি যদি অবক্ষয়ের পথে এগোয়,তবে নগরীগুলির খাদ্য ব্যবস্থা ও পরিবেশগত ভারসাম্য সরাসরি বিপন্ন হবে।তিনি আরোও বলেন, শহরের খাদ্য-জোগান ব্যবস্থার প্রতিটি স্তর মাটির স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভরশীল।

তাই মাটি পরীক্ষা, সুষম সার প্রয়োগ, জৈব পদার্থ সংযোজন এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তির প্রসার প্রয়োজন,যাতে সুস্থ মাটি সুস্থ সমাজ ও সুস্থ নগরীর ভিত্তি গঠন করতে পারে।এদিনের এই অনুষ্ঠানে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের অন্যান্য বিজ্ঞানীরা ড: মানসী চক্রবর্তী, ড: দীপক কুমার রায়, ড: সোমনাথ সরদার, ড: অরিত্র সরকার, ড: দেবীপ্রসাদ কাঁটাল সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।এদিনের আলোচনায় মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার আধুনিক কৃষি পদ্ধতি, মৃত্তিকার অবক্ষয় রোধে সমন্বিত কৌশল,শহরমুখী কৃষি পণ্যের গুণমান বৃদ্ধিতে মাটির স্বাস্থ্যের প্রত্যক্ষ ভূমিকা এবং জৈব-কার্বন বৃদ্ধির প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি বিষয়ে উঠে আসে।
এদিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মৃত্তিকা বিজ্ঞানী কুশল দাশগুপ্ত।








