বাবু সিদ্ধান্ত, বর্ধমান
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই দেশের বাজারে বেড়ে গিয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা। এই রাজ্যেও এখন তুঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা ।সেই চাহিদা পূরণে রাজ্যে প্রথম অগ্রণী ভূমিকা নিল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ও মেমারি ব্লকের প্রশিক্ষিত এসএইচজি সংঘের মহিলারা।তারাই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা পূরণের সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংঘের মহিলাদের তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিছুটা হলেও ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
মারণ ভাইরাস করোনা আতঙ্কে জেরবার ভারত সহ গোটা বিশ্ব।প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্ত ও মৃতর সংখ্যা।পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিচার করে বিশেষজ্ঞরা সকল নাগরিকদের মুখে মাস্ক পরা , হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারএবং সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের এই পরামর্শ মান্যতা পায় দেশের নাগরিক মহলে। তারপর থেকেই সারা দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যেরও ব্যাপক ভাবে বেড়ে যায় ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা। জামালপুর ও মেমারির এসএইচজি সংঘের মহিলাদের তৈরি “দুঃসময়ের বন্ধু”‘ ও “গুড টাচ ” ব্র্যান্ড নেমের হ্যান্ড স্যনিটাইজার এবার সেই ঘাটতি পূরণ করবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা ।


জামালপুর ব্লকের বিডিও অফিসের একটি ঘরে বসে বুধবার থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাজ শুরু করেছেন ‘নারী চেতনা ’ নামক এসএইচজি সংঘের একদল মহিলা।তাঁদের তরফে মাফুজা বেগম ,রেখা দাস ,হাসিনা বেগম মল্লিক প্রমুখরা বলেন , বিডিও শুভঙ্কর মজুমদারের নির্দেশ মেনে তাঁরা মেমারির পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতিতে গিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির প্রশিক্ষণ নেন ।
তার পর বুধবার থেকেই তাঁরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন । মহিলারা জানালেন , তাঁরা ৫০০ এমএল -এর খালি বোতলে ৩৫০ এমএল অ্যালকোহল ,৭,২৫ এম এল গ্লিসারিন , ১২৫ এমএল হাইড্রোজেন পারক্সাইড এবং ১৭,৭৫ এমএল পরিমান জল সহযোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করছেন । সংঘের মহিলারা আরো জানালেন ,তাঁরা তাঁদের তৈরি স্যানিটাইজারের ব্র্যান্ড নেম রেখেছেন “দুঃসময়ের বন্ধু” ।প্রতিদিন ৫০০ বোতল স্যানিটাইজার তৈরি করে যাচ্ছেন বলেও ‘নারী চেতনা’ সংঘের মহিলারা জানিয়েছেন ।