প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১১ জুলাই
বঙ্গে বিরাম পড়ছে না পিটিয়ে হত্যার ঘটনায়।এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বর্ধমানের নাম।মৃতর রবি পাশোয়ান (৩৪)। তার বাড়ি শহর বর্ধমানের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাটের সুকান্তপল্লীতে ।
নির্মম ভাবে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে রবি কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার শেখ ইনসান
ওরফে গাবুর বিরুদ্ধে। এদিকে রবি পাশোয়ান মারা যাবার পরেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত গাবু ।
মৃতর পরিবার বর্ধমান থানায় গাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তার কোঠোর শাস্তির দাবি করেছে। পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধান চালাচ্ছে।
মৃতের স্ত্রী রাধা পাশোয়ান বৃহস্পতিবার জানান,
শেখ ইনসান ওরফে গাবু দিন দশেক আগে বাঁশ দিয়ে তাঁর স্বামী রবি পাশোয়ানকে নির্মম ভাবে পেটায়। তাতে রবি মারাত্মক জখম হয় । তার ঘাড়ে ও পেটে গুরুতর আঘাত লাগে।জখম রবি পাশোয়ানকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালে এদিন ভোরে রবি মারা যান। রবিকে মারধোরের কি কারণ ছিল তা আজও অজানা রবির স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের লোকজনের কাছে।
এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে,“গাবু অসামাজিক কাজকর্মে সিদ্ধহস্ত। এলাকাতেও
অসামাজিক কাজকর্ম করতো,তোলাবাজি করতো
।“মৃত রবি পাশোয়ানের দাদা প্রেমনাথ পাশোয়ান জানান, রবি ভ্যান গাড়ি চালাতো।বাড়িতে তাঁর একটি বাচ্চা মেয়ে আছে । আর গাবু কাঠের কাজ করার পাশাপাশি পাড়ায় তার একটি চায়ের দোকান আছে। এহেন গাবু তৃণমূল কংগ্রেস দলেও যুক্ত হয়েছিল।কিন্তু তার অসামাজিক কাজকর্ম ও তোলাবাজি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়ানোয় দল তাকে তাড়িয়ে দেয় ।
মৃতের দিদি গীতা পাশোয়ান বলেন,গাবুর মারধোরে আমার ভাই রবি জখম হওয়ার পর
বাড়িতেই ভাইয়ের চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু রবি
সুস্থ হচ্ছিল না।অসুস্থতা বেড়ে যায়।এমত অবস্থায়
৮ জুলাই ভাই রবিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালে বৃহস্পতিবার সকালে আমার ভাই হাসপাতালেই মারা যায়। গাবুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন মৃতর দিবি।
এমন ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন,“কে কোন রাজনৈতিক দল করে সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়।কেউ অন্যায় করে থাকলে পুলিশ আইনে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।পুলিশ তদন্ত করেছে। অপরাধী শাস্তি পাবে।“বর্ধমান থানার এক অফিসার জানান,“মৃতর
পরিবার থানায় অভিযোগ জমা করেছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে“।