আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

চার মনের রাজযোটক-ছাদনাতলায় য়মজ ভাইয়ের গলায় মালা পরালো যমজ দুই বোন

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

 

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ৭ ডিসেম্বর

এ যেন চার মনের রাজযোটক। শাস্ত্রজ্ঞানীরা মনে করেন কেবলমাত্র রাশির মিল হলেই যে সেই বিবাহ রাজয়োটক হবে,তা নয়।এই ক্ষেত্রে
পাত্র ও পাত্রী দু’জনকারই মানসিক মিলন কেই প্রথম প্রাধান্য দেওয়া হয়।আর ঠিক যেন সেই মনের মিলকেই প্রাধ্যান্য দিয়ে সাতপাক ঘুরে যমজ দুই বোন মালা দিল দুই যমজ ভাইয়ের গলায়।অগ্নি দেবতাকে সাক্ষী রেখ ছাদনাতলায় দুই নব দম্পতির আট হাত এক করালেন পুরোহিত।

 

নজিরবিহীন এমন বিবহের সাক্ষী ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কুড়মুন গ্রামের বাসিন্দারা।সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিয়ের ছবি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরাও।তারা সবাই এই দুই নব দম্পতিকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।

কুড়মুনের যজম ভাইয়েদের বিয়ের কার্ডেও অভিনবত্ব ধরা পড়ছে। কার্ডে দেওয়া বর্ণনা
অনুযায়ী বর বাবাজীবনরা হলেন লব পাকড়ে
ও কুশ পাকড়ে ।আর পাত্রীরা হলেন যমজ দুই কন্যা অর্পিতা সাঁতরা ও পারমিতা সাঁতরা । তাঁদের বাড়ি ভাতারের সোতখালি গ্রামে। গত
রবিবার লব সিঁদুর পরিয়েছে অর্পিতার সিঁথিতে। আর কুশ সিঁদুর পরায় পারমিতার সিঁথিতে।মঙ্গলবার হয় তাঁদের বৌভাতের অনুষ্ঠান।এই বিয়ে প্রেম ভালভাসা করে নয়
বলেই বিয়েতে আমন্ত্রিত থাকা অতিথিদের কথায় জানা গিয়েছে।কিন্তু তা না হয় হল।
তবে যজম দুই ভাইয়ের জন্য যমজ পাত্রীদের
খুঁজে বারকরা সম্ভব হল কি ভাবে ?

 

এই প্রসঙ্গে পাত্র পক্ষের বক্তব্য ,এটাকেই হয়তো রাজযোটক বলে।ঘটক মহাশয়ের
দৌলতেই নাকি এমন অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিত থাকা এক এলাকাবাসী। আর পরিবার সদস্যদের কথায় দুই যমজ বোন
অর্পিতা ও পারমিতা ছোট থেকেই এক সঙ্গে থাকা পছন্দ করে।তাঁরা একে অপরকে ছাড়তে রাজি নয়।তা দেখে তাঁদের অভিভাবকরা ভেবেই রেখেছিলেন,বিয়ে দিলে একই বাড়ির পাত্রদের সঙ্গেই দুই মেয়ের বিয়ে দেবেন। ভাগ্য সহায় থাকায় পাত্রীদের অভিভাবকদের সেই ভাবনাই সার্থক রুপ পেল।শুধু এক বাড়ির ছেলে নয়,কাকতালীয় ভাবে পাত্ররাও যমজ।

See also  ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক পড়ুয়ার,আহত আরো ২

 

 

অনেকে মজা করে বলছেন,বিবাহিত জীবনে কে কার বউ তা চিনতে অসুবিধা হবে না তো!
তা নিয়ে অবশ্য কেউই ভাবিত নয়। কারণ,
সেটা বোঝার বিশেষ ব্যবস্থাও নাকি দম্পতিরা
সেরে রেখেছেন।বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিত
অতিথিরা সকলেই মনে করছেন বিধির বিধানেই হয়তো এই অসামান্য রাজযোটকের সমাপতন সম্ভব হয়েছে ।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি