প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে গিয়ে এক যুবকের মারা যাওয়ায় ঘটনায় গ্রেপ্তার হল দুই বন্ধু ।
ধৃতরা হল অর্ক মহান্ত ও রঞ্জিত হাতি । ধৃতরা পূর্ব বর্ধমানের মেমারির চাপ পুকুর ও গাঙ্গুর এলাকার বাসিন্দা।মৃত যুবক সৌরভ অধিকারীর বাবা সুজয় অধিকারীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মেমারি থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে ।
সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ দুই ধৃতকে শনিবার পেশ করে বর্ধমান আদালতে ।
তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের নিজেদের হেপাজতে নিতেচেয়ে আদালতে আবেদন জানান। বিচারক দুই ধৃতকেই ৪ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ,মেমারি থানার কোলে মল্লিকাপুর গ্রামে বাড়ি বছর ১৯ বয়সী যুবক সৌরভ অধিকারীর । গত বৃহস্পতিবার
সৌরভ তাঁর চার বন্ধুর সঙ্গে পিকনিক করতে বেরহয় ।পিকনিক করার জন্য ওইদিন তাঁরা মেমারির নুদিপুরে ডিভিসির সেচ ক্যানেলের লকগেট সংলগ্ন এলাকায় যায়।তার পর থেকে রাত অবধি সৌরভের আর কোন খোঁজ পাননা তাঁর পরিবার ।
সৌরভের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে তাঁর পরিবারকে বন্ধুরা নানারকম কথা জানায় বলে অভিযোগ । তা নিয়েই তৈরি হয় রহস্য। যুবকের হদিশ পেতে তাঁর পরিবার রাতেই মেমারি থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় ।শুক্রবার সকাল থেকে মেমারি থানার পুলিশের উপস্থিতিতে ডুবুরি নামিয়ে নুদিপুরে সেচ খালে শুরু হয় তল্লাশি ।তারই মধ্যে বেলায় হুগলির পাণ্ডুয়া থানার অন্তর্গত বৈচির সেচ খালের লকগেটের কাছে এক যুবকের মৃতদেহ ভাসতে থাকার খবর আসে পুলিশের কাছে । মেমারি থানার পুলিশের সহযোগীতা নিয়ে যুবকের পরিবার বৈচি পৌছে দখেন সেখানকার ক্যানেলের জলে সৌরভের মৃতদেহ ভাসছে ।মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠায় ।
এর পরেই সৌরভের পরিবার অভিযোগ করে সৌরভকে পরিকল্পনা করে প্রাণে মারা হয়েছে। ছেলে সৌরভের মৃত্যুর জন্য চার বন্ধুকে দায়ী করে শুক্রবার মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাবা সুজয় আধিকারী। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ সৌরভের দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে ।পুলিশ সৌরভের অপর দুই বন্ধুরও সন্ধান চালাচ্ছে। যদিও ধৃতরা দাবি করেছে তাঁরা নির্দোষ । তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা
অভিযোগ আনা হয়েছে ।