আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানের শিবিরে এসে বিক্ষোভের মুখে তৃনমূল কাউন্সিলার সোনারপুরে

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,সোনারপুর : এবার
আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানে মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়লো রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলার সোনালি রায়। তাঁকে দেখেই হঠাৎই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন মহিলারা।রাজপুর সোনারপুর পৌরসভায় ‘আমাদের পাড়া-আমাদের সমাধান’ শিবিরে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হয়।

সোমবার কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুরসভার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন মহিলা। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের এই শিবিরকে কেন্দ্র করে অশান্তির সৃষ্টি হয়। যদিও কাউন্সিলার সোনালি রায় বলেন, অভিযোগ যে কোনও মানুষের বিরুদ্ধেই থাকতে পারে। তা দলকে জানাক। এখানে এসে শিবির বানচাল করার অধিকার কারও নেই।এ দিন শিবিরে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলার সোনালি রায়।

তাঁকে দেখেই হঠাৎই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন বেশ কয়েকজন মহিলা। তাঁদের অভিযোগ, দু’বারের কাউন্সিলার সোনালি রায়। কিন্তু এলাকার জন্য তিনি কিছুই করেননি।দামি গাড়ি, শাড়ি, গয়নায় নিজেকে সাজাতেই ব্যস্ত এই জনপ্রতিনিধি। মানুষের ভোটে জিতে এলেও মানুষের জন্য কাজ করেন না। তাই তাঁকে এই ওয়ার্ডের মানুষ বয়কট করেছেন।


বিক্ষোভকারী মহিলাদের আরও অভিযোগ, কাউন্সিলার অনেককে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছেন। চুরির কেসেও ফাঁসিয়েছেন। মনসুরা গাজি নামে এক মহিলার কথায়,আট বছর ধরে উনি কোন ও পরিষেবা দেননি, কোনও কাজ করেননি। রাস্তাঘাটের অবস্থা তো দেখলেই বোঝা যায়।এখন টাকার গন্ধ পেয়ে কাজ দেখাতে এসেছেন। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সকলে তাঁকে বয়কট করেছি। তিনি থাকলে, আমরা থাকব না।

কাউন্সিলর সোনালি রায় বলেন , মারধরের হুমকি দেওয়ার জন্য আমি আগের শিবিরে যেতে পারিনি। অথচ সেই শিবির আমার বুথেই হয়েছিল। আমি বলব, এটা মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প। এখানে আমার জন্মদিন পালন হচ্ছে নামুখ্যমন্ত্রীর উপর যাঁদের আস্থা আছে, তাঁরা কখনও এই ক্যাম্প বানচাল হতে দেবেন না। এমন ভয়ের আবহ তৈরি করে রেখেছে যে, এলাকার মানুষ আমাকে ফোনে বলছেন, তাঁরা এই শিবিরে আসতে সাহস পাচ্ছেন না।

See also  পরেশ কন্যার পর আরও একজন শিক্ষক চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি