নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:-বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই শুরু হয়েছে লড়াই। একদিকে প্রাক্তন ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ কীর্তি আজাদ, অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ। লড়াইটা দারুণ। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে দিলীপের নাম ঘোষণা করার আগে, কীর্তি বলেছিলেন, “তিনি এক সময়ের সাংসদ, এক সময়ের বিধায়ক। শূন্য রানে আউট হওয়ার পর বাড়ি পাঠানো হবে। যদিও বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, আমার বিরুদ্ধে কে আছে তা দেখছি না। আমি বোলারের দিকে তাকাই না, আমি বলের দিকে তাকাই।
সোমবার দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ ময়দানে বসন্ত মহোত্সবে যোগ দেন বর্ধমান দুর্গাপুর তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। এখানেই কীর্তিকে দিলীপ ঘোষকে কটূক্তি করতে শোনা যায়। একসময় তিনি বিজেপিতে ছিলেন। পরে তিনি অল্প সময়ের জন্য কংগ্রেসেও থেকে যান। এরপর তৃণমূলে যোগ দেন।
কীর্তি আজাদকে প্রার্থী করার পর বিজেপি তাকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করে। যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে কীর্তি বলছেন, নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের বাসিন্দা। তিনি বেনারস থেকে নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কীর্তি আজাদ ছাড়াও তিনি ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন। আর এবার তিনি এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করতে। জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কীর্তি আজাদ বলেন, এখানে ৯৯ শতাংশ জয় তৃণমূলের। এক শতাংশ অপেক্ষার সময়।
মঙ্গলবার শহর বর্ধামানে হোলি খেলায় অংশগ্রহণ করেন কীর্তি আজাদ। প্রতি বছর কাঞ্চননগরে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে আয়োজিত হয় হোলি অনুস্ঠান, এই বছরও অন্যথা হয় নি, কঙ্কালিশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে সেই হোলি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন বর্ধমান- দুর্গাপুর কেন্দ্রের লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী।
বিধায়ক খোকন দাসের সাথে তৃণমুল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের সাথে হোলি খেলার পাশাপশি জনসংযোগ করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে কীর্তি আজাদ বলেন,দিলীপ ঘোষকে হোলি উৎসবের শুভ কামনা। দিলীপ ঘোষ কী মেদনিপুর থেকে কার্যকর্তা নিয়ে এসেছেন? খেলোয়াড় কী সেখান থেকেই এনেছেন? আমার সাথে স্থানীয় প্লেয়ার আছে যারা বর্ধমানেই থাকেন। দুর্গাপুরে সেখানকারই লোক আছে। ওনার অহঙ্কার আছে। ভারতীয় জনতা পার্টির শুরু থেকেই অহঙ্কার আছে। ছক্কা মেরে দেবো, বোল্ড করে দেবো উনি বলতেই থাকেন, আমি এটাই বলবো তৃণমুল কংগ্রেসের মাটির সাথে জুড়ে থাকা কর্মী, এখনকার মানুষের আশীর্বাদ সব মিলিয়ে ওনাকে ছক্কা মেরে আউট করে দেওয়া হবে।